সড়ক যোগাযোগসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ভারুয়াখালী


সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল • 
যাতায়াত ব্যবস্থা ও নানা সমস্যায় জর্জরিত কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীর জনসাধারণ। একদিকে যাতায়াত ব্যবস্থা অসুবিধা অন্যদিকে অপরাধীদের বিচরণ। সবমিলিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ। এতে পথচারী ও শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধা না থাকায় অপরাধীরা অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়তে।

জনপ্রতিনিধিদের দূর্নীতি, আত্মসাৎ ও অবহেলার কারণেই যাতায়াত ব্যবস্থা-সহ কুখ্যাত অপরাধীদের হাতে প্রতিনিয়তেই হত্যা, ডাকাতি ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। এ জন্য ক্রমশই বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এ দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। সংস্কারেও নেই কোনো অগ্রগতি। দুর্গতিই এখন গতি। এমনকি কোন কোন জায়গায় একেবারেই গাড়ি চলচলা বন্ধ হয়ে গেছে।

বিশেষ করে রশিদ নগর ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নের জেটিরাস্তা হতে চৌধুরী পাড়া পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। ওই সড়ক দিয়ে ২/৩ বছর আগে জমজমাট গাড়ি চলাচল ছিলো। বর্তমানে জেটিরাস্তা হতে ফকিরা কবর স্টেশন পর্যন্ত কিছুটা গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বাকী অংশ বড় চৌধুরী পাড়া পর্যন্ত সড়কটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। বলতে গেলে ওই জরাজীর্ণ রাস্তা দিয়ে গাড়ি যাতায়াততো দূরের কথা মানুষ চলাচল করতেও কষ্টকর হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির পানির কবলে পড়ে সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই সড়কটি ২০০২ সালে কার্পেটিং করার পর থেকে কোন সংস্কার করা হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। ওই সড়কটি এক সময় ভারুয়াখালী বড় চৌধুরী পাড়ার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলেও বর্তমানে গাড়ি চলাচল না থাকায় বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে তাঁরা। রশিদ নগর ও ভারুয়াখালী দুই ইউনিয়নের অংশ হওয়ায় সড়কটির সংস্কার হচ্ছেনা বলে দাবি স্থানীয়দের।

খানাখন্দকে ভরা রাস্তাগুলো পরিণত হয়েছে বড়ই বেহাল। এ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে। তবে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর একাধিকবার দাবি জানালেও কোনো কাজ হয়নি। শুধু আশ^াসেই তা থেমে রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের রাস্তার বেহাল দশার মধ্যে রয়েছে দরবেশ আলীর দোকান থেকে বড় চৌধুরী পর্যন্ত, ননামিয়া পাড়া, করিম সিকদার পাড়া ও পশ্চিম পাড়ারসহ অধিকাংশ এলাকায় রাস্তার বেহাল দশা। এদিকে কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। দেখলে মনে হবে মিনি পুকুর। অধিকাংশ এলাকার রাস্তার ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত।

বড় চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা এডভোকেট শওকত বেলাল বলেন- ভারুয়াখালী ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায় রাস্তার অবস্থা খারাপ। এমনকি কোন কোন স্থানে চলাচল একেবারেই বিছিন্নও হয়ে পড়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নে যেভাবে রাস্তা উন্নয়নের কাজ হয়েছে তার অর্ধেক কাজই ভারুয়াখালী ইউনিয়নে হয়নি।

স্থানীয়রা আরও জানান, ইউনিয়ন পরিষদে রাস্তা বরাদ্দের জন্য যেসব টেন্ডার হয়। তা জনপ্রতিনিধিদের দূর্নীতি ও আত্মসাতের কারণেই রাস্তার উন্নয়ন হচ্ছেনা। পাশাপাশি রাস্তা যেদিকে ভালো রয়েছে সেদিকে নামে মাত্র কাজ দেখিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করে আসছে ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা।