হঠাৎ সবজির বাজার অস্বস্তির: মনিটরিং দরকার

সাইফুল ইসলাম

ফাইল ছবি

সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজির দাম। বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা চক্রান্ত করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে বলে জানা গেছে।

একদিকে সবজির দাম বৃদ্ধি অন্যদিকে অন্যদিকে মাছের বাজারেও স্বস্তি মিলছে না। চড়া দরেই বিক্রি হতে দেখা গেছে নানা ধরনে মাছ। এভাবে দিনের পর দিন মাছের সঙ্গে সবজির দাম বাড়তে থাকলে নি¤œ ও মধ্যবিত্তিদের মাঝে নেমে আসা অসহনীয় দূর্ভোগ। সচেতন মহলের দাবি, এমনিতেই বাজারে মাছের সংকট। ফলে মাছের দাম আকাশছোঁয়া। সবজির দাম দিনের পর দিন এভাবে বাড়তে থাকলে মানুষের অবস্থা কি হবে। এই মুহুর্তে প্রশাসনের পক্ষ বাজার মনিটরিং করা দরকার বলে মনে করছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বাজারে মাছের সংকট থাকায় সবজির উৎপাদনের চেয়ে, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম একটু বাড়তি। পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধি হলে খুচরা বাজারেও দাম বৃদ্ধিতে বিক্রি করতে হয়।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে। গতকাল শহরের কালুর দোকান বাজার, বড় বাজার, কানাই বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, বেগুন, বরবটি, কাঁক করলা, তিতকরলা দাম ৬০ টাকা বা তারও বেশি। এভাবেই প্রতিটি তরকারীর দাম গত সপ্তাহের ব্যবধানে কেজির প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বৃদ্ধি।

কালুর দোকানের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন জানান, প্রতিকেজি কাঁক করলা, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, বরবটি ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা দরে। এসব সবজি সপ্তাহের আগেও বিক্রি হতো ৩০ থেকে ৪৫ টাকায়। তিনি আরও জানান, বৃষ্টির কারণে দাম বেড়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে বাজারে সবজি আসে কম। এ বাজারে পেঁপে, শসা ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। লাউ বিক্রি করছেন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। দাম হঠাৎ এত বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন বর্ষার মৌসুম। এ সময় সবজির উৎপাদন কম হয়। এ কারণে দাম বেশি।

বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবজি, মাছ, মাংস থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যের দামই এখন বেশি। সাধারণ মানুষকে নিত্যদিনের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। বাজারে কোন পণ্য সর্বোচ্চ কত দামে বিক্রি করা যাবে সে ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় ইচ্ছামতো মুনাফা করছে ব্যবসায়ীরা। এর জন্য বাজারগুলোতে মনিটরিং বাড়ানো দরকার বলে মনে করছে ক্রেতারা।