হাতি গর্তে পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে!

প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে, হাতি গর্তে পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে! বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবস্থাটাইও এখন সেইরকম। রীতিমত দুঃসময়ের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট, বিশেষ করে টেস্টে। মূলত বিশ্বকাপের পর থেকেই এই দুর্দশার চিত্রটা ফুটে ওঠে। যা সদ্য সমাপ্ত ভারত সিরিজে দেখা দেয় আরও প্রকটভাবে। 

সবশেষ ঐতিহাসিক ইডেনে গোলাপি বলের টেস্টে সেই চিত্র ধরা দেয় চরমভাবে। ম্যাচে ভারতীয় পেসারদের বাউন্সারে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন লিটন দাস ও নাঈম হাসান। হেলমেটে বল লেগেছে মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ মিঠুনেরও।

ভারতীয় পেস আক্রমণের বিপক্ষে টাইগারদের এমন অসহায়ত্বকে ব্যঙ্গ করে বিজ্ঞাপন প্রচারণা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। যা নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

সম্প্রতি স্থানীয় জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন বিষয়ে সচেতন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হয় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। রোববার (২৪ নভেম্বর) কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে টাইগারদের হেলমেটে বল লাগার দৃশ্যের একটি ছবি পোস্ট করা হয়।

যেখানে লেখা হয়, ‘রাখে হেলমেট, মারে কে!’ সুরক্ষিত থাকার জন্য বাইক চালকদের সচেতন করতেই হেলমেট নিয়ে এমন প্রচারণা চালায় কলকাতা পুলিশ।

তবে টাইগার সমর্থকরা বিষয়টিকে মেনে নিতে পারেন নি। তারা বলছে, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের তাচ্ছিল্য করতেই এমনটা করেছে কলকাতা পুলিশ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।

এর আগে বাংলাদেশকে তাচ্ছিল্য করে বিজ্ঞাপন প্রচার করে ভারতীয় স্টার স্পোটস চ্যানেল। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় দেশ ও বিদেশে।