হিমছড়িতে পাওয়া গুলিবিদ্ধ লাশটি টেকনাফের ছৈয়দ আলমের

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মঙ্গলবার ১ অক্টোবর হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে পাওয়া গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। লাশটি হলো ছৈয়দ আলম (৪২), পিতা-তানভির আহমদ, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খোংকার পাড়া। পেশায় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী। বিষয়টি রামু থানার ওসি মো. আবুল খায়ের নিশ্চিত করেছেন।

রামু থানার আওতাধীন হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ি মৃতদেহটি উদ্ধার করে গত মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ফেসবুকের বদৌলতে ছৈয়দ আলমের স্ত্রী রোজিনা আক্তার তার স্বামীর মৃত ছবি দেখে তাকে সনাক্ত করে। পরে বুধবার ২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এসে স্বামীকে সনাক্ত করে।

রোজিনা আক্তার বলেন-তার স্বামী একজন ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী। অল্প খুব পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতো। ৩০ আগস্ট সোমবার ছৈয়দ আলম মাছ কিনতে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি। রোজিনা আক্তার জানান-তার স্বামীর কোন মামলা ছিলোনা, মাদক কারবারও করতো না। কেন তাকে কে বা কারা হত্যা করলো রোজিনা আক্তার বুঝে উঠতে পারছেনা। ছৈয়দ আলমের ৪ সন্তান। ৩ ছেলের বড় ছেলে ইমাম হোসেন (১৩) মহেশখালীয়া পাড়া বায়তুশ শরফ একাডেমিতে পঞ্চম শ্রেণিতে ও দ্বিতীয় ছেলে বেলাল হোসেন (১১) চতূর্থ শ্রেণিতে, তৃতীয় ছেলে জাকির হোসেন (৭) ও কন্যা লিজা মনি (১)। ছৈয়দ আলমের লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে রামু থানা পুলিশ জানিয়েছেন।