“মরিচ্যা বাজার” কোন হীরক রাজার দেশ নয়!

ডিবিডি নিউজ, বিডিদর্পণ, উখিয়া নিউজ টুডে সহ নামে বেনামে অনেক ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ।

গত ৬ই এপ্রিল প্রকাশিত বিভিন্ন অনলাইন সংবাদের মাধ্যমে আমি এম. মনজুর আলম মেম্বারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক ভুয়া মিথ্যা, মুখরোচক কল্প কাহিনীর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মূলত ২০২১ইং সালের স্থানীয় সাধারণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে শক্তিশালী প্রার্থীকে হারিয়ে মেম্বার নির্বাচিত হয়। আমার প্রতিপক্ষ পরাজিত প্রার্থীর পিতা এস এম শামশুল হক বাবুল মেম্বার ২০১১ ও ২০১৬ইং হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে শক্ত প্রতিদন্দিতা করে ইউনিয়নে তাহার ব্যাপক জনক সমর্থন ছিল।

তবে ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আলোচিত এস এম শামশুল হক বাবুল মেম্বারকে রাজনৈতিক মারপ্যচে পেলে গত ১১ই নভেম্বরের চেয়ারম্যার পদপ্রার্থীরা নিজ নিজ সুবিধার জন্য তাহার পুত্রকে মেম্বার পদে নির্বাচন করার পরামর্শ ও নির্বাচনে সার্বিক ও আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিলে কৌশলে গত নির্বাচনী মাঠ সুবিধা করে।

নির্বাচনে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদে ০১নং ওয়ার্ডের জনগণের (১৮২৯) ভোট পেয়ে ২য় বারের মত মেম্বার নির্বাচিত হয় ১১ই নভেম্বর। ১১ই নভেম্বর হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদে ০৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচন চলাকালীন সময় ভোটার বø্যাট বক্স ছিনতাই করায় ০৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত হয়।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা নির্বাচনে জয় লাভ করার জন্য এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীদের সাথে জোট করে ১ম পক্ষ হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ শাহ্ আলম ও ২য় পক্ষ বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব এস.এম ইমরুল কয়েস চৌধুরী ভোট যুদ্ধে চলমান সময় হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচিত ৬/৭ ইউপি সদস্য জনাব এস.এম ইমরুল কায়েস চৌধুরীর পক্ষে প্রচারনায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু আমাকে দুই প্রার্থী নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্বাচনী প্রচারানায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করে। বিধিবামঃ আমি এম মনজুর আলম মেম্বার নিরব ভুমিকা পালন করি। ভোটে জনাব এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরী নির্বাচিত হয়। নতুন ইউনিয়ন পরিষদে গত ২৮শে ডিসেম্বর প্রথম সভার মাধ্যমে চলমান কার্যক্রম শুরু হয়।

দুঃখের বিষয় ০৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম শামশুল হক বাবুল মেম্বারের সুযোগ্য সন্তান আনিসুল ইসলাম লিকচন আমার কাছে নির্বাচনে হেরে গেলে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের কয়েকটি রাজনৈতিক পরিবার ও আমার প্ররাজিত প্রার্থীদের কালো নজরে পড়ি কারণ ভবিষ্যতে হলদিয়াপালং ইউনিয়নে আমার নেতৃত্ব অবশ্যম্ভবী।

মূলত গত ১৬/০৭/২০২০ইং সালে জালিয়াপালং ০৫নং ওয়ার্ড থেকে মাহাবুবা আক্তার, পিতা- ছৈয়দ মিয়ার কন্যার সাথে আমার বিবাহের পদ্যয়নামা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে কাবিন হওয়ার কথাবার্তা ছিল। দুই পরিবারের ভ‚ল বোঝা বুঝিতে উখিয়া উপজেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক বরাবরে আমার বিরোদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করতে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি আইনি সুরক্ষা পাওয়ার জন্য উখিয়া থানায় একটা সাধারণ ডাইরি করি। যাহার নং- ১০২৬।

এমতাবস্থায় বিয়ের বিষয়টি স্থগিত হয়ে যায়। দীর্ঘ দেড় বছর পরে ৩০শে ডিসেম্বর আমার অত্র ওয়ার্ড থেকে আমার বিয়ের কাবিন নামা সম্পাদন হয়। গত ১৬/০৭/২০২০ইং সালে বিয়ের ফর্দনামাটির ছায়াকপি নিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের আমার প্রতিপক্ষ স্থানীয়, ইউনিয়নের রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গরা গত ২০/০১/২০২২ইং সালে উখিয়া থানায় বিশেষ কায়দায় মিথ্যা বানোয়াট একটি ধর্ষণ মামলা আমার বিরোদ্ধে দয়ের করেন। আমাকে চিরতরে রাজনৈতিক ও স্থানীয় জনগণের সামনে কালিমা লেপন করার জন্য মামলা দয়ের করেন।

আমি দীর্ঘ ১মাস এলাকার বাহিরে থাকার সময় মরিচ্যাবাজারের একজন শান্তি প্রিয় ডিলার ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনকে নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়। এরপর থেকে মরিচ্যাবাজার ও হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ড আইনশৃংখলা অবনতি বিদ্যমান। গত ২২/০২/২০২২ইং সালের পর আমার নির্বাচনি মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ২১নং ব্যাচ থেকে ক্রিমিনাল মিস মামলা নং- ১৩৬১২।

আমাকে ৬ সপ্তাহ পর কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতে মামলা পরিচালনা করার সময় নির্ধারন করার পর এলাকায় এসে আমার প্রাণপ্রিয় অত্র ওয়ার্ডের জনসাধারনকে সেবা দিতে গিয়ে গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকে মরিচ্যাবাজার ও মরিচ্যাবাজার ব্যবসায়ী, আমার উপর একদল দালালচক্র হলদিয়ার বর্তমান চেয়ারম্যানকে ভ‚ল বুঝিয়ে মরিচ্যা বাজারের দোকান থেকে অতিরিক্ত ট্রেডলাসেন্সেনের ফি অতীতে যে দোকানে ৫০০/- ছিল সেখানে ২০০০/- থেকে ১০/১১ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স আদায় করে ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ মার্কেটের ২টি দোকানের মালামাল সহ তালাবদ্ধ করে।

গত ২ এপ্রিল মরিচ্যাবাজারের অস্থায়ী দোকান ও মরিচ্যাবাজার ব্যবসী সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলামের পান সুপারি দোকানের সম্পূর্ণ মালামাল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নিয়ে আসলে স্থানীয় মরিচ্যাবাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণ প্রতিবাদে মরিচ্যা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি পহেলা রমজান রবিবার হাটের দিন অদ্য দিবস ধর্মঘট পালন করে।

এর পরপর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার এক শ্রেণীর কতিপয় নামধারি সাংবাদিক সংবাদে মাদক ব্যবসায়ী নারী ক্যালেংকারী হিসাবে নগ্ন রূপে আখ্যায়িত করে নিউজটি পরিবেশন করে যাহা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ আমাকে হয়রানি করার জন্য মূলত আমি সংবাদ পত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিদৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি, আমি সাধারণ পরিবার থেকে বেড়ে উঠে জাতীয় রাজনৈতিক ও জনগণের সেবা করে, দুই দুই বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত ইউপি সদস্য আমার ০১নং ওয়ার্ড মাদকের বিরোদ্ধে জিরোটলারেন্স ঘোষণা করছি।

মাদকের বিরোদ্ধে আমার অবস্থান সবসময় বিপক্ষে। ০১নং ওয়ার্ডের শান্তি প্রিয় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের পাশে আমি সবসময় থাকব। আমার বিষয়ে মাদক ও নারী কেলেংকারী অভিযোগ তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি।

অতএব, আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদ গুলো ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করছি। পাশাপাশি পাঠক মহলকে ভুয়া সংবাদে বির্ভান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

নিবেদক
এম মনজুর আলম মেম্বার
ইউপি সদস্য, ১নং ওয়ার্ড