চকরিয়ায় যুবলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা

১৫ আগষ্ট ও ২১ আগষ্টের হত্যাকারীরা একই সূত্রে গাঁথা

রাজু দাশ, চকরিয়া •


আগস্ট আসলেই ষড়যন্ত্রকারীরা নতুন করে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে,যুবলীগের নেতাকর্মীদের এই ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপরে সর্তক থাকতে হবে— জাফর আলম এমপি।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা,খতমে কোরআন, বৃক্ষ রোপন ও কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পেকুয়ার জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এম এ।

বুধবার (২৫ আগষ্ট) সকাল ১১টায় চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ মিলনায়তনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ সভাপতিত্ব উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছিরের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহম্মদ বাহাদুর,বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী,পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু,সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দীন চৌধুরী,কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী,তরুণ সমাজ সেবক আফজালুর রহমান চৌধুরী,উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পরিমল বড়ুয়া,লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম।

জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা হুমায়ুন কবির হিমু,মির্জা ওবাইদ রুমেল, রিগ্যান আরাফাত,ইসমাইল সাজ্জাদ,আরিফ উল্লাহ্, জাহাংগীর আলম,নুরুল আলম, মোঃ হানিফ, নাসির সিকদার।বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, শ্রমীকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দীন,সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দীন মামুন, চৌধুরী,মাতামুহুরি যুবলীগের সাবেক আহব্বায়ক আনছারুল করিম,পৌরসভা যুবলীগের সাঃ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল,উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি কাউন্সিলর মুজিবুল হক,জাবেদ হোসেন পুতুল,মহিদুল ইসলাম,যুগ্ন সাঃ সম্পাদক মোঃ রাসেল,শফিউল আজম,সিনিয়র সদস্য হেলাল উদ্দীন,আলহাজ্ব হায়দার আলী,সাইফুল ইসলাম সাদেক,মোঃ সাইফুদ্দীন,সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ,রেফায়েত সিকদার,তারেকুল ইসলাম চৌঃ,অর্থ সম্পাদক আজাজুল হক,দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন,স্বাস্থ্য সম্পাদক মাহামুদুল হক চৌঃ তপসির, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আনোয়ারুল ইসলাম আনু,মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক আব্দুল আলম,সমাজ সেবা সম্পদক সাইফুল ইসলাম, সহ সম্পাদক হাসানুল ইসলাম আদর ,জয়নাল হাজারী, তৌহিদুল ইসলাম,মোঃ শফি,মোঃ আলমগীর, হাবিবুর রহমান,বজলুল কাদের সাহেদ,,এনামুল হক,আবু তৈয়ব,পৌরসভা যুবলীগের যুগ্ন সাঃ সম্পাদক বেলাল উদ্দীন শান্ত,মোঃ সেলিম,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেফায়াতুল কবির বাপ্পী,সাবেক সাঃ সম্পাদক আরহান মাহামুদ রুবেল, খুটাখালী যুবলীগের আহব্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম মিঠু,যুগ্ন আহব্বায়ক মোঃ ওয়াসিম এম ইউপি,মোঃ ফারুক,আব্দু শুক্রুর,মোঃ ইমরান,হেলাল উদ্দীন,ডুলহাজারা আহব্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম,যগ্ন আহব্বায়ক আমান উল্লাহ্,আব্দু রশিদ হায়দার,হাসানুল ইসলাম আদর,মোঃ কাইছার,আবদুল আজিজ,জামাল উদ্দীন হাদি, রহিম,ফাঁসিয়াখালী সভাপতি নাজমুল হাসান লিটন,হাসনাত ইউছুপ,সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম,মোঃ আরাফাত, বাবুল, সাহাবউদ্দীন,চিরিংগা যুবলীগের সাঃ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল, সোহান, রাসেল,সুরাজপুর-মানিক আহব্বায়ক ফেরদৌস আলম,যুগ্ন আহব্বায়ক রুবেল,লক্ষারচরের সভাপতি সরওয়ার আলম,সাঃ সম্পাদক শেফায়েত হোসেন সাহেদ,কাকারা যুগ্ন আহব্বায়ক,নজরুল ইসলাম,রমিজ,কৈয়ারবিলের আহব্বায়ক আব্দু রশিদ,নুরুল মোস্তফা,জামশেদ আলম রুবেল, মিজানুর রহমান,রমিজ সিকদার,বরইতলী যুগ্ন আহব্বায়ক কামরুল ইসলাম,মোঃ কাইছার, সাহাবউদ্দীন,বমুবিল ছড়ি সভাপতি ডাঃ মিজানুর রহমান,হারবাং সভাপতি মোঃ লিটন,সাঃ সম্পাদক মুজিবুর রহমান,বেলাল উদ্দীন,আব্দু রউফ আরমান, নোমান, মোঃ এমরান সহ উপজেলা যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত সভাপতি সাঃ সম্পাদক নেতৃবৃন্দ, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগবৃন্দসহ আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোক কর্মসূচীতে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সকল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- ১৫ আগস্ট রাতের অন্ধকারে ঘাতকেরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে চিরতরে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাইরে থাকায় তারা তা করতে পারেনি।

কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শান্তিপূর্ণ মিছিলে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করে বাংলার মাটি থেকে আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সেদিন তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

আজকের বিশ্ব মানবতার মা শেখ হাসিনা সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ অন্যরা সেদিন শহীদ হন। আজ সময় এসেছে সেদিনের সেই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবার। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে।

সভায় বক্তরা আরো বলেন, ১৫ আগস্ট আমরা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমরা আমাদের দলের অনেক নেতাকেও হারিয়েছি। এই মাস শোকাবহ মাস। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনায় যুবলীগ সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অপসারণ করব।