২৭ ইয়াবা ব্যবসায়ীর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক: তালিকায় মহেশখালীর একাধিক জনপ্রতিনিধির নাম

ডেস্ক রিপোর্ট • এবার ২৭জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান, মহেশখালী পৌরসভা চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীর নামও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে টাকা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট তারিখে দুদক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল) আবদুল আউয়াল স্বাক্ষরিত এক পত্রে ২৭ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের জন্য দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তালিকায় মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মো. মোকসেদ মিয়া, মেয়রের ভাতিজা মো. ফরহাদ, সাবেক মেয়র মো. সরোয়ার, মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা, বড় মহেশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ বাবুল, সাবেক চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ, কুতুবজোম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. খোকন ও তার পিতা কবির আহমদ প্রকাশ ২নং কবির, কুতুবজোম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুল আমিন খোকা, সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদুল আলমসহ ২৭ জনের নাম রয়েছে।

এদিকে প্রধান কার্যালয়ের পত্রাদেশ পাওয়ার পর দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশের নেতৃত্বে দুদকের দুই সদস্যের একটি টিমকে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ওই ২৭ জনের ঠিকানায় নোটিশ পাঠিয়েছে অনুসন্ধান টিম। ইতোমধ্যে গত ১৮ তারিখ থেকে অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত নেওয়া শুরু করেছে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা তাদের সম্পদসহ বেশ কিছু বিষয়ের দলিলাদি নিয়ে দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে।

এ ব্যাপারে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ২৭ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। আমাদের সজেকা-২ এর দুইজন কর্মকর্তা বিষয়গুলো অনুসন্ধানে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ২৭ জনকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।