কঠোর প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে সাংবাদিক নেতা থেকে জননেতা রাসেল চৌধুরী!

আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল :

কঠোর প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সাংবাদিক নেতা রাসেল চৌধুরী। তি‌নিই সর্বোচ্চ বেশি ভোট পেয়ে উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প‌দে নির্বাচিত হয়েছেন।

স্বচ্ছ ইমেজ, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা এবং অসাধারণ মিশুক প্রকৃতির কারণেই জনতার হৃদয় জয় করে ‘সাংবাদিক নেতা থেকে জননেতা’ তে পরিণত হয়েছেন তিনি। এতে তার নির্বাচনী এলাকা উখিয়াসহ সারা দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।

জীবনে নানা চড়াই-উতরাই’ পার করে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন তিনি। নিজের সংগ্রামী জীবনে নানা সময়ে গরিব-অসহায়, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াঙ্গনে নিজের উপস্থিতি ও সহযোগিতা করার পাশাপাশি নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন তিনি। যার প্রমাণ হিসেবে প্রথমবারের মত নির্বাচন করে-ই তিনি বাজিমাত করেছেন। অথচ তাকে এ নির্বাচন থেকে সরাতে নানা কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে বহুমুখী ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো। কিন্তু তার মেধা ও শ্রমের মূল্য উখিয়ার সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে দিয়ে তাকে বিজয়ী করেছেন।

রাসেল চৌধুরী যিনি বহু সময় ধরে নিরবে একের পর এক করে গেছেন সহযোগিতা। সবার সমস্যায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। নিজের হাজারো কাজ থাকলেও সব উপেক্ষা করে অন্যের উপকারে ছুটে গেছেন সবসময়।

দেশের করোনা পরিস্থিতে মানুষ যখন কর্মহীন, ঠিক সেই মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষদের জন্য অনেক কিছুই করছেন। এইছাড়াও নিজস্ব তহবিল থেকে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে কাজ করে চলেছেন অবিরত। প্রকাশ্যে সহযোগিতার পাশাপাশি অনেক পরিবারকে তিনি গোপনে সহযোগিতা করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও তিনি অনেক অবদান রেখেছেন। বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশুদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।

উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উদীয়মান তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।

তার মহত্বের যে চিত্র উঠে এসেছে, তা শুধু সাধুবাদযোগ্যই নয় , অনুসরণযোগ্যও বটে। এই মহত্বের উখিয়াবাসীর মন কেড়ে নিয়েছেন।

এছাড়াও একজন শিক্ষিত, কর্মদক্ষ, মানুষের বিপদের আপনজন, সৎ ও সততার উত্তম সমন্বয়, তারুণ্যদীপ্ত সাংবাদিক নেতা রাসেল চৌধুরী। সকল আলোচনা -সমালোচনার উর্ধ্বে থেকে গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকতে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চমক দিয়েছেন তিনি।

গতকাল ২৯ মে (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. রাসেল চৌধুরী (তালা) ২২ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী কামাল উদ্দিন মিন্টু (মাইক) ১৮ হাজার ৮০৮ ভোট, জাহাঙ্গীর আলম (টিউবওয়েল) ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট, গফুর চৌধুরী (চশমা) ৫ হাজার ৯৯২ ভোট এবং গফুর উল্লাহ (বই) ৪ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়েছেন।

জানা যায়, উখিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করতে গিয়ে তিনি অনেক নেতাদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন। তাকে দমানোর জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র করা হলেও তার কর্মী, সমর্থক এবং উপকারভোগীরা তাকে ‘আগলে’ রেখেছেন নির্বাচনের মাঠে। কর্মী এবং সমর্থকরা নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করেই সাংবাদিক রাসেলের জন্য পাড়া- মহল্লায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

ভোটের দিন নেতাকর্মীরা প্রতিটি কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীর ‘ব্যাচ’ পরিধান করে শক্ত অবস্থান নিলেও অল্প কয়েকটি কেন্দ্রে রাসেলের সমর্থকদের দেখা মেলে। অথচ অধিকাংশ কেন্দ্রে ই তিনি প্রথম না হয় দ্বিতীয় হয়েছেন।

সন্ধ্যায় কেন্দ্র ঘোষিত ফলাফলে রাসেল এগিয়ে থাকার খবর শুনে তার ভক্তরা উপজেলা চত্বরে ভিড় করেছেন। সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস লক্ষ করা গেছে।

উল্লেখ্য, রাসেল চৌধুরী হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখাঁ চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত ফরিদ আহমদ চৌধুরীর ছেলে। সততা ও ন্যায়,নিষ্ঠার সাথে কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, দৈনিক মানবজমিন’র কক্সবাজারস্থ স্টাফ রিপোর্টার ও আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বদেশ’র কক্সবাজার প্রতিনিধি এবং কক্সবাজার জার্নাল ডটকম এর উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। রাজনৈতিক জীবনে বর্তমানে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন তিনি।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি হাসপাতাল পরিচালনা, ব্যবসা এবং ঠিকাদারী কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।