অ’বাজি বেশী শীত পরের

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল ◑

সারা দেশের ন্যায় শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়েছে টেকনাফবাসী। গত দুই দিন ধরে সকাল থেকে চারিদিকে বইছে হিমেল হাওয়া এতে গরীব, দুঃস্থ ও নিন্ম আয়ের মানুষ গুলো হঠাৎ করে শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। গতকাল থেকে তাপমাত্রাও কমে গেছে। প্রচন্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষের জীবন যাত্রা। এধরনের শীত গত ৪০/৫০ বছরে দেখে নাই বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন।

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বেশি শীত পড়লেও টেকনাফের মানুষ কখনো এধরনের শীতের কবলে পড়েনি। টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে খবর নিয়ে জানা যায়, কনকনে শীতের কারনে বয়স্ক ও শিশুদের মাঝে দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত নানা ধরনের রোগ। প্রচন্ড ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া রোগে ভুগছে বেশির ভাগ শিশু। হঠাৎ করে ঘন কুয়াশার কারণে বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রকার শাক-সব্জি ও বীজতলাগুলো।পাশাপাশি সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি, হতদরিদ্রর মানুষ গুলো।

কারণ তারা সময় মত কাজে বের হতে পারছেনা আবার অনেক রিক্সা চালক শীতের ভয়ে রিক্সাও চালাতে চায়না।

এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ থাকার কারনে কমলমতি শিশু শিক্ষার্থী বন্ধ থাকার কারনে এই শীতের কবল থেকে অনেকটা রক্ষা পেয়েছে তারা। ৬৫ বছর বয়সী একবৃদ্ধ অভিমত প্রকাশ করে বলেন, “অ বাজি এনডইল্লা শীত,আরার জীবনে আর ন দেহি”। এদিকে টেকনাফের মার্কেটগুলোতে শীতের কাপড় কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দোকানদাররা শীত বস্ত্রগুলো দ্বিগুন বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে নিন্ম আয়ের মানুষরা টাকার অভাবে শীতবস্ত্র ক্রয় করতে পারছে না।

টেকনাফের সচেতন ও শিক্ষিত সমাজের মানুষরা বলছেন হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আসা হিমেল হাওয়ার আংশিক শৈত্যপ্রবাহ টেকনাফে এসেছে বিধায় শুরু হয়েছে হাড় কাঁপানো কনকনে শীত। টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।