ঈদে ফোন নয়,আসতে বলছি! (পর্ব-২)

ভালবাসায় ভালবাসা আনে। এক্সিডেন্টের কথা ভেবে কেউ আজ পর্যন্ত গাড়ি কেনা বাদ দেয়নি। করেনি চালানো বন্ধও।তবে জ্বালানি ব্যবহার অসাধ্যের কৌটায় পৌঁছালে বিধিটি ভিন্ন। সম্প্রীতি, ভালবাসা মানব সমাজ চলমানে জ্বালানীর মতোই।বিকলে জীবন নিরানন্দের দরিয়ায় মাঝিহীন নৌকা সাম্পান বনে রয়।

সাহসহীনতা,হীনমন্যতা হয় উপহার। অবসাদ,বিষন্নতা,হতাশায় খাওয়া নাওয়াহীন বিছানাই হয় ঠিকানা ।কর্মে শরীরটা রয় কিলের ডরে বানর নাচে..কিলের ডরে বানর নাচে..ভাবে!ক্ষয় রোগের মতো সৃষ্টি হয় অনাগ্রহের পরিবেশ।

পড়ে থাকা ফোনটি বাজতে রইলেও তাঁকিয়েই রয়, হ্যালো বলতে মন চায় না। নীরব বিনাশে এমন পরিস্তিতির শেষ মেহমান ‘জরা’।বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে গতি, কেড়ে নিয়েছে স্বস্তি। আনন্দের পরিবেশ সেতো আজ ভাগ্যের ধন।

জীবন বাঁচাতে,সাঁজাতে যন্ত্রের সাথেই আমাদের কম্পিটিশন।সংসারে যারা, তারাও কি রয় আনন্দের পরিবেশ উপহার দেয়ার তালে!বরং তাঁদের ভালবাসা জীবিত রাখতে,কিনে দিতে পারার মানুষ বনতে গিয়ে হাঁপাই!তারপরও কি আছে ছাড়!

আপণ জন যারা তারাও আত্নীয়তা রক্ষায় দেখা সাক্ষাৎহীন বায়বীয় ফোনালাপকে করেছে দরদ রিনিউয়ের মাধ্যম
।মা” যখন আবেগে বুকে জড়িয়ে কয় অ..পুত এতদিন কেমনে আমারে ফেলে রইলি!উত্তর বেরুয়..তোমার সাথে ফোনে গত সপ্তাহেওতো কথা বললাম “মা”!

হাত কচলিয়ে ভালবাসা হয় না।,হাত উচিয়েও না।ভালবাসা হয় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।কাঁধে হাত রেখে। হাত ধরাধরি করে।আসুন না.. আনন্দের পরিবেশ উপহার দিতে হাতে হাত রেখে,হাত ধরাধরি করে কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে কই ” হৃদরোগে তোমারে আমি মরতে দিবো না,কোনদিনই না!জীবনেও না!!(চলবে)

লেখকঃ- বিভাগীয় প্রধান (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ)

উখিয়া কলেজ কক্সবাজার।
ইমেইল- alamgir83cox@gmail.com