উখিয়ায় অবরুদ্ধ পরিবারের অভিযোগে যাতায়াতের ব্যবস্থা করলেন এসিল্যান্ড!

কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট :


কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং সোনাইছড়ি এলাকায় রাতের আঁধারে কাঠের সাঁকো ভেঙে যাতায়াতের বন্ধ করেছে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন হামিদুর রহমান নামের এক ভুক্তভোগী। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সালেহ আহমদ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত জালিয়াপালং সোনাইছড়ি এলাকার আলী আজমের নেতৃত্ব সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ চাঁদা দাবি সহ নানা হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে একই এলাকার হামিদুর রহমানের পরিবারকে। চাঁদা না পেয়ে বনভূমি দখল করে দীর্ঘদিনের চলাচলের পথ সংকীর্ণ সহ কাঠের সাঁকো ভেঙে নিয়ে যায় সিন্ডিকেটের সদস্যরা। অভিযোগে উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলো আলী আজম,গুরা মিয়া, শফিউল আজম, শহিদুল্লাহ ও কহিনুর।

ভুক্তভোগী হামিদুর রহমান জানায়, আমাদের একমাত্র চলাচলের পথ বন্ধ সহ কাঠের সাঁকো ভেঙে নিয়ে যায় আলী আজমের নেতৃত্ব ৬/৭, জন সন্ত্রাসী। আমরা এর প্রতিবাদ করলে বার বার হামলা করে তারা। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ দিনদুপুরে হামলা করলে মহিলা সহ ৪/৫জন গুরুতর আহত হয়। পরে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করলেও জামিনে বেরিয়ে আবারও হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কাঠের সাঁকো খুলে নিয়ে যায়। ফলে আমাদের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবর অভিযোগ দায়ের করলে শনিবার বিকেলে সরেজমিনে এসে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন।

মামলার বাদী জান্নাতুল বকিয়া লাকী বলেন,”কাঠের সাঁকো ভেঙে চলাচল বন্ধ করায় আমাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেনা। এখন কাঠের সাঁকো পুন:নির্মাণ করে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পরবর্তী উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সালেহ আহমদ জানায়,”জালিয়াপালং সোনাইছড়ি এলাকায় চলাচলের পথ বন্ধ করে কাঠের সাঁকো ভেঙে ফেলার অভিযোগ পেয়েছি। এখানে বনভূমি ও খাসজমি রয়েছে। কেউ এসে কাঠের সাঁকো ভেঙে চলাচল বন্ধ করা আইনের পরিপন্থী। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ কেউ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম, ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফিরোজ আল আমিন সহ থানা পুলিশ,বনবিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।