একদিনে বাংলাদেশে পালিয়ে এলো মিয়ানমারের ৬৮ সেনাসদস্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

মিয়ানমারের অভ্যন্তরিন সংঘর্ষ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। অব্যাহত সংঘাত ও অপতৎপরতায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন বিজিপি সদস্যরা। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াইয়ের ঘনত্ব আরও বেড়েছে। যার কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে মিয়ানমারের সেনা সদস্য ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে পালিয়ে এসে একদিনেই নতুন করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৬৮ জন সদস্য। এ নিয়ে গত ৩ দিনে ঢুকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সেদেশের সেনাবাহিনীর ৫ সদস্যসহ বিজিপির ৮৪ জন সদস্য।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন ঢোকেন। এরপর দুপুরে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে আসে আরও ১ জন। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ৫ জন ঢোকেন। আর সবশেষ রাত ১১ টার দিকে সীমান্ত পিলার ৪৪ এবং ৪৫ দিয়ে ঢুকে পড়ে আরও ৫০ জন। এ ৬৮ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোনো বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এরা এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এনিয়ে গত ৩ দিনে মোট ৮৪ জন পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে এই ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসেন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন বিজিপির আর ১৪ জন সদস্য। নতুন করে আসা ৩৪ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়রত রয়েছে। এনিয়ে মোট ২১৪ জন ওখানে রয়েছেন। আগে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।