কক্সবাজারে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও’র যত অপকর্ম!

  • ফ্রেন্ডশীপ এনজিও নিয়ে উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ারের ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি নিম্নে পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল।

  • এনজিও ফ্রেন্ডশীপে অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে :
  • সরকার ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্তের অভিযোগ

 
কক্সবাজার জেলার ১৮০ জন ছেলে-মেয়েকে চাকরিচ্যুত করে সরকারি বন্ধের দিন শুক্রবারে ইন্টারভিউ নেওয়ার মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও’র বিরুদ্ধে। স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, মনোরঞ্জন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধী কর্মকান্ড বর্তমানে এনজিও ফ্রেন্ডশীপ এর অলংকারে পরিনত হয়েছে। এছাড়াও এনজিওটি সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ফ্রেন্ডশীপ এনজিও দীর্ঘদিন ধরে রাতের আঁধারে ও সরকারি বন্ধের দিন চাকরি দেওয়া প্রলোভনে মেধা ও যোগ্যতাকে বাদ দিয়ে কক্সবাজার জেলার বাইরের চাকরি প্রত্যাশীদের ইন্টারভিউতে ডেকে অর্থ আদান প্রদান /দরকষাকষির বৈঠকে এনে নিয়োগ বানিজ্য করে। নগদ অর্থ লেনদেন করলেই নিমিষেই চাকুরী জুটে জেলার বাইরের ছেলে মেয়েদের।

অথচ অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরেও কক্সবাজারের স্থানীয় শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের কপালে ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর চাকরি জুটে না।
কারণ চাকরী নেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার আশংকাকে প্রধান কারণ হিসেবে বলছেন স্থানীয়রা।

তারা জানায়, ফ্রেন্ডশীপ এনজিওতে হাতেগোনা যে কয়েকজন উখিয়া – টেকনাফ তথা কক্সবাজারের স্থানীয় লোকজন চাকরি করে তারা সকলেই একদম নিম্ন পজিশনে। তাদেরও সুকৌশলে বিভিন্ন অজুহাতে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এসব অবৈধ অপকর্মের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছেন হেলথ ও এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের কর্মরত এ টু জেড সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ওই কর্মচারীরা চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে আদায়কৃত উৎকোচের টাকা সরাসরি পাঠিয়ে দেন ফ্রেন্ডশীপ এনজিও’র ঢাকা হেড অফিসে। তারপর সেখান থেকে দীর্ঘ সময় পর ইস্যু করা হয় অস্থায়ী নিয়োগ পত্র। যাতে করে সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিশে চাকরিচ্যুত করা যায়। এতে করে যতবার নিয়োগ , ততবারই ইনকাম।

এদিকে, এই পলিসিতে দারুণ সফলতা পেয়েছে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও। জেলা প্রশাসন, আরআরআরসি অফিস ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিজেদের ইচ্ছে মতো, নিজেদের সৃষ্টি করা নিয়মেই চলে ফ্রেন্ডশীপ নামক এই লুটপাটকারী এনজিওটি মানবিক কাজ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে ফ্রেন্ডশীপ এনজিওতে চলমান রয়েছে ৬ প্রজেক্ট। যারমধ্যে চারটি হেলথ প্রজেক্ট, একটি একটি এডুকেশন প্রজেক্ট ও একটি ক্লাবো প্রজেক্ট। তৎমধ্যে একটি এডুকেশন প্রজেক্টে শিক্ষকসহ স্টাফ রয়েছে হাজারের অধিক। এছাড়া চারটি হেলথ প্রজেক্টে স্টাফ রয়েছে তিনশোর অধিক স্টাফ। ক্লাবো প্রজেক্টে স্টাফ রয়েছে দশজনের মতো। এছাড়া দায়িত্বশীল লেভেলের স্টাফ রয়েছে অর্ধশতাধিক।

আর স্থানীয়ভাবে এডুকেশন প্রজেক্ট দেখভাল করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মহসিনুল আলম ও হেলথ প্রজেক্ট দেখভাল করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আশিক।

স্থানীয়দের ৪০% চাকরি দেওয়ার জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না এনজিও ফ্রেন্ডশীপ।এডুকেশন ও হেলথ প্রজেক্ট গুলোতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজন, শ্যালক-শ্যালিকা , চাচাতো ভাই-বোন, তাদের প্রতিবেশী, দূরসম্পর্কের আত্মীয়স্বজন ছাড়া কারো চাকরি হয় না। এর নেপথ্যে রয়েছে নিয়োগ বানিজ্য ও আত্মীয়করণ।

এদিকে, স্থানীয়দের অধিকার আদায় তথা উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের চাকরি নিশ্চিত করা দাবীতে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী ২/৩ বছর পূর্বে থেকে আন্দোলন গড়ে তুললেও স্থানীয় প্রশাসন এবং স্থানীয় টেন্ডারবাজ রাজনৈতিক নেতাদের অসহযোগীতার কারণে তেমন ভাবে সফল হতে পারেননি। কৌশলে দমিয়ে দেওয়া হয়েছে তার যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে। এরপর থেকে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফ্রেন্ডশীপসহ এনজিও গুলো নিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন ইচ্ছে তেমনই করে যাচ্ছে। এসব দেখার বা বলার এখন আর কেউ নেই।

অন্যদিকে, জেলা এনজিও সমন্বয় সভায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক লিখিত নির্দেশনা প্রদান করেছেন, টেন্ডার প্রদানের সময় জেলা অথবা উপজেলা প্রশাসন মনোনীত প্রতিনিধির উপস্থিতি (বাধ্যতামূলক) নিশ্চিত করার। কিন্তু কে শুনে কার কথা। ফ্রেন্ডশীপ তাদের সকল টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করে গুটিকয়েক ভেন্ডরদের মাধ্যমে, যারা টেন্ডারের সিংহভাগ টাকা নয়-ছয় করে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও কর্তৃপক্ষকে উৎকোচ হিসাবে প্রদান করে থাকে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাদের এসব নির্দিষ্ট ভেন্ডর ছাড়া আর কেউ টেন্ডারের কাজ পায় না।

গেল ২০২২ সালের শেষের দিকে নারী স্টাফদের যৌন হয়রানী করার প্রতিবাদে এডুকেশন প্রজেক্টের কিছু স্টাফ আন্দোলন গড়ে তুলে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও অফিস ঘেরাও করেছিল। এ আন্দোলনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনায় আসে। পরে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও কর্তৃপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রজেক্টের ৩০ জন্য স্টাফকে বিনা নোটিশে একসাথে সাসপেন্ড করে দেন।

এছাড়াও উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা দেওয়ার নামে হাসপাতাল তৈরি করতে গিয়ে হোস্ট কমিউনিটি / স্থানীয় লোকজনের বিপুল পরিমাণ জায়গা জবর দখল করার অভিযোগও রয়েছে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও’র বিরুদ্ধে।
তারা ঐ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিমানা ও ভবন নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ উপেক্ষা করে বালুখালী পান বাজারের দক্ষিন পাশে প্রধান সড়কের সংলগ্নে জলাভুমিতে পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে অবৈধ ভাবে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল এর ভবন নির্মাণ করেছে। এব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল ও পরিবেশবিধদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে জলাভুমি ভরাট করে ফ্রেন্ডশিপ এনজিও প্রতিষ্ঠান এর কর্মকর্তারা স্থানীয় কয়েকজন ভুমিদস্যুদের সমন্বয়ে পার্শ্ববর্তী প্রাকৃতিক পাহাড় কেটে মাটি এনে জলাভূমি ভরাট করত তদস্থলে হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ করেছে।

তৎকালীন সময়ে স্থানীয় সচেতন মানুষের পক্ষে কক্সবাজার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সাংবাদিক পরিষদের কর্মকর্তারা কক্সবাজার পরিবেশ দপ্তরে পাহাড় কাটা ও মাটি পাচারসহ বিভিন্ন চিত্র ছবি সম্মিলিত একটি অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র পরিদর্শক মোঃ মইনুল হক সরেজমিন এ তদন্তকালে দেখতে পান যে উক্ত ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে উক্ত জলাভুমিতে পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে মাটি কেটে পাচার করে ভরাট করত ভবন নির্মাণের সত্যতা প্রমাণ পেয়ে ছিলো। তিনি পর্যালোচনা করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রায় ১ কোটি ৫০লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর একটি প্রতিবেদন দাখিল করে ছিলেন।

উক্ত ক্ষতিসাধন এর প্রতিবেদনটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মফিদুল ইসলাম আমলে নিয়ে দ্রুত ভাবে উক্ত হাসপাতালের নির্মান কাজ বন্ধ এবং দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করার জন্য ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের এমডি রুনা খানের বরাবর একটি নোটিশ প্রদান করা কথা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। উক্ত নোটিশ এর ব্যাপারে ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেএকটি নোটিশ পেয়েছেন বলে এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন। এইদিকে ফ্রেন্ড শীপ এনজিওর কর্তৃপক্ষরা পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ উপেক্ষা করে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের ভবন নির্মাণ করেছে রাতের আধারে। তখন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রহস্য জনক কারনে নিরব ভূমিকা পালন করে গেছে।

স্থানীয় প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, সরকারি বিভিন্ন নির্দেশনা উপেক্ষা করার অভিযোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উখিয়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান মোটা অংকের জরিমানা ও একাধিকবার সতর্ক করেছিলো এই ফ্রেন্ডশীপ এনজিওকে। এছাড়া ২০১৯ সালের ফ্রেন্ডশীপ এর পরিচালক (হেলথ) গোলাম রসুলকে রুমখাঁ বাজারস্থ ফ্রেন্ডশীপ এনজিও অফিসের হল রুমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রত্যাবাসন বিরোধী কার্যক্রম চালানোর জন্য স্টাফদের ট্রেনিং প্রদানের সময় আটক করে ছিলো উখিয়া থানার পুলিশ, পরে এনজিও কর্তৃপক্ষ মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন।পরবর্তীতেও এই প্রতিষ্টানটি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অনিয়মকে নিয়মের পরিণত করে চললেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এডুকেশন, চিকিৎসা সেবা ও ওয়াশসহ অন্যান্য প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের আড়ালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ যাচ্ছে । এনজিও ব্যুরো এই ব্যাপারে আরআরআরসি ও জেলা প্রশাসককে পত্রও প্রেরণ করেছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী গুলোর সাথে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও দায়িত্বশীলদের যোগাযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বরত এপিবিএন এর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা।

তিনি জানান, বিশেষ করে ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর এডুকেশন প্রোগ্রাম ও হেলথ প্রোগ্রামের আড়ালে প্রজেক্ট ম্যানেজার / প্রোগ্রাম ম্যানেজারদের তত্তাবধানে এসব রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম চলতেছে।

ইতিমধ্যে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা গুলো ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর কার্যক্রমের উপর সর্তক দৃষ্টি রাখার পাশাপাশি খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে।

এদিকে ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর আদ্যোপান্ত খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী কুটিলাম জমিদার পরিবারের সন্তান রুনা খান হলেন ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর চেয়ারম্যান। তিনি বিবাহ করেছেন এক ফ্রান্সের নাগরিককে। এছাড়াও তিনি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। বিগত ২টি সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ফ্রেন্ডশীপ এনজিওর ডাইরেক্টর বোর্ডে দুইজন ব্যক্তি ছাড়া বাকী সবাই জামায়াত-বিএনপি’র রাজনীতি সাথে জড়িত। রুনা খানসহ তার অধীনস্থরা বিএনপির হাই কমান্ডের সুদৃষ্টিতে থাকার জন্য ফ্রেন্ডশীপ এনজিও মানবিক সেবার আড়ালে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডেও লিপ্ত রয়েছে।

ফ্রেন্ডশীপের রুমখাঁ বাজারস্থ অফিস থেকে এডুকেশনের প্রোগ্রামের কিছু কার্যক্রম বালুখালীস্থ অফিসে হস্তাস্তর করা হয়েছে। আর সেখানে সিনিয়র কর্মকর্তাদের দিবানিশি মনোরঞ্জনের জন্য মহিলা শিক্ষকদের নিয়ে রাতে মদ,জুয়া ও নাচ-গানের আসর বসে । সেখানে মহিলা শিক্ষকদের উপস্থিত হতে বাধ্য করা হয়। এছাড়াও সেখানে তাদের সঙ্গী হয় কক্সবাজার জেলার বাহিরের সুন্দরী নারী-সহকর্মীরা।

অন্যদিকে, এনজিও হোপ ফাউন্ডেশন হতে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে ৬ মাসের জন্য পাওয়া প্রায় ৪ কোটি টাকার হেলথ প্রজেক্ট থেকে স্থানীয় ১৮০ জন স্টারকে বাদ দিয়ে বহিরাগতের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্য করার নতুন পায়তারা শুরু করেছে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও। তাই পূণরায় সরকারি বন্ধের দিন ও রাতের আঁধারে আয়োজন করা হয়েছে ইন্টারভিউ নামক নাটক।

এই ব্যাপারে ফ্রেন্ডশীপ কর্তৃপক্ষ জানান, যোগ্য লোক নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা স্থানীয়দের চাকরিচ্যুত করে বাহির থেকে লোক নিয়ে আসতেছি। তাতে কোনো সমস্যা নেই। রোহিঙ্গাদের এ বি সি ডি শিক্ষা দিতে কতটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা লাগে সেটা স্থানীয় সচেতন মহলও বুঝতেছে না। এইচএসসি ও ডিগ্রি পাশ করেও স্থানীয়রা উৎকোচ ছাড়া ফ্রেন্ডশীপ এনজিওতে একটা সামান্য শিক্ষকের চাকরি পাচ্ছেন না।

এদিকে, কক্সবাজার -উখিয়া-টেকনাফের ১৮০ জন স্থানীয় লোকজনকে চাকরিচ্যুত করে বহিরাগতদের চাকরি প্রদান ও প্রক্রিয়াধীন নিয়োগ বানিজ্য এবং সরকারি বন্ধের দিন ইন্টারভিউ গ্রহণ নামক তামাশা বন্ধ করা না হলে ফ্রেন্ডশীপ এনজিও বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও প্রজেক্ট অফিস ঘেরাও করার মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

তাই ফ্রেন্ডশীপ এনজিও এসব অনিয়ম দ্রুত বন্ধ করতে আরআরআরসি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক,উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও এপিবিএন কর্তৃপক্ষে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।