এমপি দের কেন এই নিরবতা, কখন ভাঙবে উনাদের জাগ্রত ঘুম?

আবরার শাওন রোস্তম ◑

গত কয়েকদিন ধরে পুরো দেশ অঘোষিত লকডাউন হওয়ার পর হতে বিশেষ করে নিম্ন আয়ের লোকজন নির্মম ভাবে পরিবার নিয়ে জীবন অতিবাহিত করে আসতেছে। এই চিত্র শুধু আমার এলাকা বা আপনার এলাকায় আছে তেমন নই কিন্তু নিম্ন/মধ্য আয়ের দেশ বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকার একই দৃশ্য।

এমতাবস্থায় আমার আপনার করনীয় কি? সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন ধনী মানুষের করনীয় কি? নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি উনাদের ভুমিকা কি? এই বিষয়গুলোর মধ্যে জনপ্রতিনিধির নিরবতা বা সেল্ফ কোয়েরেন্টাইন থাকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে! কিন্তু কেন হচ্ছে আমরা কি তা করার অধিকার রাখি!

আমাদের জেলা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ হতে নির্বাচিত সরকার দলীয় এমপি মহোদয়া কে কোনভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতার কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার খবর বিগত একবছর ধরে পাই নি!! নজর দিয়ে দেখা যাই পুরো কক্সবাজারের সবকটি এমপি’দের একই চিত্র।

কেন এই নিরবতা! কখন ভাঙবে উনাদের জাগ্রত ঘুম?

এখন জাতির সংকটময় মুহূর্তে উনাদের উচিত ছিল সামনের সারিতে থেকে মানুষকে সচেতন করে অসহায় মানুষকে সহায়তা করা। এতটুকু সাহায্য আমরা বা আমাদের গরীব অসহায় মানুষ পেতেই পারেন কিন্তু এখন চিত্র তার বিপরীত। হ্যা আমার ছোট্ট বিবেকের কাছে উত্তর খুঁজে পেয়েছি, সরকারের সাহায্য সহায়তা বরাদ্দকৃত অর্থ বা মালামাল এখনো হাতে পৌঁছায়নি যখন আসবে তখন ছবির পোজ দেওয়ার জন্য আপনা আপনি বের হয়ে আসবেন। এখন নিজেদের অর্থ হতে সাহায্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই কেননা উনারা কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন নি! তাই জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা বলতে কিচ্ছু নেই!
অপেক্ষা করেন দেখবেন সবকটা জনপ্রতিনিধি অল্প কিছুদিনের মধ্যে বেরিয়ে আসবেন ছবি তুলে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য আগামীর মুলধন হিসেবে।

সুতরাং আমাদের এই বিষয়ে নজর না দিয়ে নিজ নিজ অবস্থান হতে যে যতটুকু পারি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই, ইনশাআল্লাহ এই সংকটময় পরিস্থিতি হতে আল্লাহ মহান আমাদের উদ্ধার করবেন। ভাল করে নিজের মনের অন্তর দিয়ে দেখেন বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সংঘটন, ব্যক্তিবিশেষ, যে যতটুকু পারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরাও পারব।

লেখক- আবরার শাওন রোস্তম
উখিয়া,কক্সবাজার