কক্সবাজারে ৩ পর্যটককে ছুরিকাঘাতের ঘটনা কি ছিনতাই নাকি ভিন্ন কিছু?

ডেস্ক রিপোর্ট ◑ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের শৈবাল পয়েন্টের ঝাউবাগান এলাকায় মধ্য রাতে ছুরিকাঘাতে ৩ পর্যটক আহত হয়েছে। আহত পর্যটকরা দাবি করছেন, সৈকতের ভ্রমণে গিয়ে তারা সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারি কবলে পড়েছেন। তাদের ছুরিকাঘাত করে নগদ এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।

তবে বিষয় ছিনতাই কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ এক কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, মধ্য রাতে শৈবাল পয়েন্টের মতো জন-মানব শূণ্য এলাকায় এ ৩ পর্যটক কেন গিয়েছিলেন। আর একজন পর্যটন সৈকতে ভ্রমণে গেলে নগদ দেড় লাখ টাকার বেশি নিয়ে গেলেন কেন? এটা ছিনতাই নাকি ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতারণা তদন্ত করা দরকার।

রোববার দিবাগত রাতে সৈকতে শৈবাল পয়েন্টের ঝাউবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত পর্যটকরা হলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈম শেখ (২৫), ঢাকার মিরপুরের পল্লবী এলাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন রাজ্জাক (৩১) ও মোশাররফ হোসেন জনি (৩২)। তাদের মধ্যে নাঈম শেখের অবস্থা গুরুতর।

আহত সালাউদ্দিন রাজ্জাক বলেন, রাতে রেস্তোরা থেকে খাবার খেয়ে আমরা ৩ জন সমুদ্র উপভোগের জন্য বের হয়ে ঝাউবিথীতে হাঁটতে শুরু করে। হঠাৎ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৭-৮ জনের একটি দল এসে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে ছুরি দেখিয়ে নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর ধস্তাধস্তি ও চিৎকার শুরু করলে ছিনতাইকারির দল ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ সরওয়ার হোসেন বলেন, চিৎকার শুনে আমি এবং বীচ কর্মী খোরশেদ আলম এগিয়ে যায়। দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় ৩ জন পর্যটক পড়ে আছে। পরে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে খবর দিই।

ঘটনার পরপর সদর হাসপাতালে আসেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার মো. মাসুম খান। এসময় তিনি জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।