চকরিয়া পৌর নিবার্চন

কে হচ্ছেন পৌর পিতা রাত পোহালেই তার ভাগ্য নির্ধারণ

এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া •
রাত পোহালেই সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নিবার্চন। করোনার কারণে দু’দফায় নির্বাচন পেছানোর পর ২০ সেপ্টেম্বর পৌর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন নিয়ে শহর জুড়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

ভোটার ও সাধারণ মানুষের মাঝে এখন একমাত্র আলোচনা বিষয় হয়ে দঁাড়িয়েছে কে হচ্ছেন পৌর পিতা তার ভাগ্য নির্ধারণের দিন আজ। প্রথম শ্রেণীর এই পৌরসভা নির্বাচনে শুরুতে চারজন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতায় নামলেও নির্বাচনের আগ মুহুর্তে কম্পিউটার প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল সিদ্দিকী আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীককের প্রার্থী আলমগীর চৌধূরীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে পড়েছেন।  ফলে এখন মাঠে রয়েছে তিনজন প্রার্থী।

তারা হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী, নাগরীক কমিটির ব্যানারে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলমের ভাতিজা জিয়াবুল হক (নারিকেল গাছ) ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত মেয়র প্রার্থী মনোয়ার আলম (লাঙ্গল)। তবে নির্বাচনে মুল প্রতিদ্বন্ধিতা হবে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী, নাগরীক কমিটির ব্যানারে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হকের মধ্যে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে চকরিয়া পৌরসভা প্রতিষ্টিত হয়। ১৯৯৬ সালে তা দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। বর্তমানে পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪৮ হাজার ৭২৪জন । তাদের মধ্যে ২৫ হাজার ৮৯৯ জন পুরুষ ও ২২ হাজার ৮২৫ জন নারী ভোটার রয়েছেন। নিবার্চনে মেয়র পদে তিনজনসহ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও পুরুষ কাউন্সিলর ৬৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

নির্বাচনকে ঘিরে ইতিপূর্বে দিন-রাত প্রচার ও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটারদের ধারে ধারে ছুটে চলেছেন মেয়রসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দিয়েছেন নানান ধরনের প্রতিশ্রুতি। পাশাপাশি শহরের প্রতিটি অলিতে-গলিতে চলছিল ব্যাপক মাইকিং। এখনো পাড়া-মহল্লায় ও ভোট কেন্দ্রগুলোর অদুরে ঝুলছে পোস্টার। স্থানীয় ভোটারা জানান, পৌরসভার উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন তাকেই মেয়র প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

দুই মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধূরী ও জিয়াবুল হকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করেন অনেকে। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বতর্মান মেয়র আলমগীর চৌধুরীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কারণে তিনি কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের ভোট যদি নারিকেল গাছ প্রতিকের প্রার্থী জিয়াবুল হকের পক্ষে চলে যায় তবে পাল্টে যেতে পারে ভোটের সব হিসেব নিকেষ।

পৌর শহরের বাটাখালী এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন জানান, গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় শহরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। এক সময় রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও সম্প্রতিক সময়ে রাস্তা-ঘাট সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।

নারিকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হক পৌরসভার বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্ণীতির কথা তুলে ধরে বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্যের পাশাপাশি মেয়র নির্বাচিত হলে উন্নয়নেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এসময় তিনি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।

আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, গত নিবার্চনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এবারও আমার প্রতি আস্থা রেখে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন। আশা করি পৌরবাসীর অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আবারও ভোটার আমাকে মেয়র নিবার্চিত করবেন।