রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতি মাসে ৩০ কোটি টাকার ঔষধ বিক্রি!

মুহাম্মদ হানিফ আজাদ, উখিয়া •

কক্সবাজারেরর উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্যাম্পে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা প্রায় ১০ হাজারে ঔষধের দোকান বিক্রয় হচ্ছে প্রতি মাসে ৩০ কোটি টাকার ঔষধ।

কিছুদিন আগে কুতুপালং ক্যাম্প-০৭ এর সিআইসি জিপি দেওয়ান নুরুল হক নামের এক ডাক্তারের ফার্মাসী থেকে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ঔষধ জব্দ করে লোক জনের উপস্থিতিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পেলে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঔষুধ সরবরাহক করছে এদেশের প্রায় ২ শতাধিক ঔষুধ কোম্পানী। এরা উখিয়া টেকনাফের প্রতিটি কোম্পানিতে ৭/৮ জন করে বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ করেছেন বলে উখিয়া ঔষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাক্তার আব্দু রহিম জানিয়েছেন।

দোকান গুলোতে ডাক্তারী করছে রোহিঙ্গারা। উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গড়ে উঠা এসব বাজারে ও ভিতরে  ব্যাঙের ছাতার মত রোহিঙ্গাদের ঔষুধের ফার্মেসীর দোকান, আড়ালে চলচ্ছে অবৈধ ব্যবসা ইয়াবা।

উখিয়া জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২০-২৫ রোহিঙ্গা বাজার কেন্দ্রিক ঔষুধের দোকান খুলে স্থানীয় পরিচয়ে ডাক্তারী চিকিৎসা করছে এখন অনেক রোহিঙ্গারা। অনেকেই ক্যম্পের ভিতরে বাড়িতে অবৈধ ভাবে ডাক্তারী ও ঔষধ বিক্রি করছে । তেমনি গঙ্গার সর ফার্মেসীসহ অনেক দোকান আড়ালে অপচিকিৎসা ও ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন রোহিঙ্গা ডাক্তারা।

স্থানীয় কিছু দালাল চক্রে মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসি ড্রাগ লাইসেন্সের ফটোকপি দিয়ে অবৈধ ভাবে দোকান করে আসছে এই রোহিঙ্গারা, এমনকি তারা দোকানের আডালে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

থাইংখালী, বালুখালী, পালংখালী, ময়নারঘোনা, শাপলাপুর, কুতুপালং, মধুরছড়া, জামতলি রোহিঙ্গা বাজারের অলিতে গলিতে অবৈধ ভাবে ঔষুধের ফার্মেসী খুলে রোহিঙ্গারা নিজেদের বাংলাদেশী সেঁজে ভূঁয়া পরিচয় দিয়ে চিকিৎসার নামে অবৈধ পন্থায় হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। আবার অনেকেই ফার্মেসি আড়ালে চালাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা।

এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারী এবং দেখ ভাল না থাকায় এখন রোহিঙ্গারা স্থানীয় দাবী করে বিভিন্ন চলচাতুরী আশ্রয় নিয়ে ও জাল সনদ তৈরি করে আগে চিকিৎসা ও ঔষুধ বিক্রি করে যাচ্ছে এতে ব্যবসায় বন্ছিত হচ্ছেন স্থানীয় ফার্মেসীর দোকানদারা।

স্থানীয় জামতলির ডাক্তার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মোঃ ইউছুফ বলেন,রোহিঙ্গা আসার কারনে আমরা ক্ষেত, খলা,জমিজামাসহ সবকিছু হারিয়ে পেলেছি ও বর্তমানে এখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম দ্বিগুন বেড়েগেছে। এখন আমাদের স্থানীয় ব্যবসা খুব কমে গেছে কিন্ত রোহিঙ্গাদের দোকানে ব্যবসা জমজমাট আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

জামতলি ইলিয়াস নামের এক রোহিঙ্গা ডাক্তার টেকনাফের হ্নীলায় এল এম এফ সাটিফিকেট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বানিছেন বলে অভিযোগ পাওয়া উঠেছে, এনিয়ে সচেতন মহলের প্রশ্ন? ও শক্তিশালী যোগসুত্র রয়েছে এমনই অজুহাতে নানা অপকর্ম জাহিঁর করে থাকে।

গঙ্গাচর ফার্মেসি পরিচালক রোহিঙ্গা ডাক্তার মোঃ জকরিয়ার বিরুদ্ধে ইয়াবা সম্পৃক্ততা, মানবপাচার, মিয়ানমার কেন্দ্রিক চোরাই ব্যবসা ও হুন্ডি বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছু স্থানীয় দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ডাক্তারেরা কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নামে বেনামে ট্রেড লাইসেন্স ও নাগরিক সনদ নিয়ে এবং অন্যজনের নামে থাকা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের ডিপ্লোমা সনদ এলএমএএফ, ডিএমএডি, এমএফ, আরএমপি সনদ এবং ভূঁয়া সনদ বানিয়ে ডাক্তারী নামের এই মহা মানবসেবামূলক পেশাকে কলংকিত করছে এমন অভিযোগ উঠেছে সচেতন মহলের পক্ষ থেকে।

এসব ভূঁয়া চিকিৎকরা আনতাজ করে ও মনগড়াভাবে ঔষুধ লিখে রোগীদের হাতে চিকিৎসা পত্র তুলে দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন নিম্নমানের মেডিসিন ধরিয়ে দিচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ, শিশুসহ এলাকার মানুষের হাতে।এসব অপচিকিৎসার ফলে শরীরের উল্টো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে নিরহ অসচেতন লোকজন।

বার্মাইয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ও ঔষুধের দোকান গুলো সরজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানিয়েছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক যেসব অশিক্ষিত ভূঁয়া রোহিঙ্গা ডাক্তার ও আনাড়ি চিকিৎসকরা যত্রতত্র দোকান খুলে চিকিৎসার নামে ভূল চিকিৎসা করে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্রুত বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

এদিকে জামতলি রোহিঙ্গা বাজারে যেসব ভূঁয়া রোহিঙ্গা ডাক্তারের হদিস পাওয়া গেছে তারা হল ডাক্তার জামতলি শফিক মার্কেটে মোঃ জিকরিয়া, মোঃ তাহের,মোঃ ইরফান,ইব্রাহিম মার্কেটে মো ইলিয়াছ,নুর সেলিম মোঃ ইদ্রিস, মোঃ শমশু,আনসার উল্লাহ কেসিং প্রকাশ সচিং সহ আরো অনেকেই।

এধরনের অসংখ্যা ফার্মেসী খুলে বার্মাইয়ারা ঔষুধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বেআইনি ভাবে।এসব অজ্ঞ ডাক্তারেরা চিকিৎসার নামে রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দিচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত নিম্নমানের ইত্যাদি ঔষুধ। জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানকারী আশ্রিত রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন চিকিৎসার নামে ডাক্তার দাবী করে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে রাত-দিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কথিত ভূঁইফোড় ডাক্তারেরা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজার-টেকনাফে ৩২ টি রোহিঙ্গা ক্যম্পে অন্তত ১০ হাজারের অধিক ঔষুধের দোকান রয়েছে নামে বেনামে। অপসোনিন ফামাসিউটিক্যাল, বেকসিনিকো, স্কয়ার, ওয়ান ফার্মা, মেডিমিট, ফারমিকসহ ২ শতাধিক ঔষুধ কোম্পানি প্রতি মাসে রোহিঙ্গাদের দোকানে বিক্রয় করে আসছে ৩০ কোটি টাকার ঔষুধ। এসব ফার্মেসীর হদিস মিলে জামতলি, কুতুপালংসহ ক্যাম্পের চর্তুর পাশে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, কুতুপালং বাজারসহ ক্যাম্পের ভিতরে বাইরে ও ঔষুধের দোকান খুলে যারা নিজেদের ডাক্তার দাবীকরে ভূঁয়া কাগজপত্র নিয়ে ঔষুধ বিক্রি করছে তাদের ব্যাপারে অভিযোগ থাকায় ইতিপূর্বে একাধিক বার মোবাইল পরিচালনা করে অর্থ ও জেল উভয় দন্ডে দন্ডিত করেছি ফার্মেসী এবং কথিত ডাক্তারদের।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সিভিল সার্জেন মাহবুবুর রহমান জানান এগুলো নিয়ন্ত্রন করে ঔষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।