জুয়া খেলার অভিযোগে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ আটক ১০

অনলাইন ডেস্ক :

পাবনার সুজানগরে জুয়া খেলার অভিযোগে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাইসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। সোমবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত দশটার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আটককৃতরা হলো, পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক রবিউল হক টুটুল (৪০), সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুজ্জামান শাহিনের বড় ভাই ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ (৪২), চরসুজানগর গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৫২), মোমিন হোসেন (৩৫), কালাম হোসেন (৩১), রেজাউল করিম মানিক (৪০), নাজির খান (৪৬), দীলিপ কুমার সরকার (৪০), পাশু সরকার (৪০) ও গোকুলনগর গ্রামের আশিস কুমার (৪০)। আটককৃতরা সবাই আওয়ামীলীগের নেতা ও কর্মি বলে ওসি জানায়।

সুজানগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার জানান, সোমবার দিবাগত রাত দশটার দিকে সুজানগর বাজারে এন এ কলেজের পশ্চিম পাশে জনৈক আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে একদল লোক টাকা দিয়ে জুয়া খেলছে এবং হৈ হুল্লুর করছে। এ খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে তাস দিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় উল্লেখিত ১০ জনকে আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তাসসহ জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং নগদ ২১ হাজার ৮২০ টাকা জব্দ করে পুলিশ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চরতারাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল হক টুটুল দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে মদ, জুয়া, গাঁজার আসর বসিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক বাণিজ্যে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগও রয়েছে। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৮৬৭ সালের প্রকাশ্য জুয়া আইনের ৪ ধারায় সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত) অরবন্দি সরকার।

এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, এটি একটি প্রশ্নবিদ্ধ অভিযান। গ্রেফতারকৃতদের হেনস্তা করতেই উদ্দেশ্যেমুলক ভাবে এই অভিযান। মাত্র ২১ হাজার টাকা জব্ধ করায় প্রশ্ন উঠেছে ১০ জন লোক ২১ হাজার টাকা দিয়ে কি ভাবে জুয়া খেলল ?।

সুজানগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার উপজেলা চেয়ারম্যানের অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, এখানে পুলিশের কোন উদ্দেশ্যে নেই। আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ কাজ করেছে।