টেকনাফে আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালিত

টেকনাফ প্রতিনিধি :
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে আজ বৃহস্পতিবার টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, দুপুরে খতমে কোরআন ও বিকালে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বরস্থ দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে বিকাল ৩টায় টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাঃ সম্পাদক ফজলুল কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব মো: শফিক মিয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এইচ এম ইউনুছ বাঙ্গালী, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল বশর, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ উল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন চেয়ারম্যান, বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক নুরুল হক, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নুর মোহাম্মদ গণি, পৌর যুবলীগের আহবায়ক তোয়াক্কুল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম রেজা, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলতান মাহমুদ, সাঃ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্না, যুগ্ম সাঃ সম্পাদক আবদুল বাসেদ, টেকনাফ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল হোসন রাজু, বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাঃ সম্পাদক আমজাদ হোসেন খোকন, হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম নুরু, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাঃ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াকুব, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন, সাঃ সম্পাদক ইব্রাহীম বাবলু, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শফিক আলম শকু, সাঃ সম্পাদক সোহেল সিকদার, সাবরাং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হক মুন্না, সাঃ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন- ১৯৭৫ সালের শোকাবহ এই কালো দিবসে ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে। আজ যখন আমরা ১৫ আগস্টকে ফিরে দেখি, তখন মনে হয় মানুষকে ভালোবাসা ও বিশ্বাস করাই বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে নিহত হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ। যিনি এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং প্রতিষ্ঠাতা, তাঁকে কিনা নির্মমভাবে ঘাতকের বুলেটে নিহত হতে হলো!

বক্তারা আরও বলেন- বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ, এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির কাছে চিরস্মরণীয় এক নাম, বাঙালির প্রেরণার নাম। যিনি না থেকেও বাংলার মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন- মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু হয়ে।