টেকনাফে এবার চিকিৎসক সহ দুইজনকে অপহরণ!

আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল :

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আবারও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর হোয়াইক্যং ঢালা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ দুইজন অপহরণের শিকার হয়েছেন।

অপহৃত দু’জনের একজন হলেন উখিয়ার থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের পুত্র জহির উদ্দিন (৫২)। তবে অপরজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

ঘটনার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে অপহৃতদের বহনকারী সিএনজির চালক ইলিয়াস জানিয়েছেন শামলাপুর অতিক্রম করে হোয়াইক্যং ঢালা সড়কের কুদুমগুহা নামক এলাকায় পৌঁছালে ব্যারিকেড দিয়ে সিএনজি গতিরোধ করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা তাদের দুই জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গহীন পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। এসময় তাকেও মারধর করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর সে সিএনজি চালিয়ে দ্রুত হোয়াইক্যং বাজারে চলে আসে। অপহৃতদের পরিবারসহ উপস্থিত জনতার কাছে ঘটে যাওয়ার ঘটনার বর্ণনা করেন।

এ বিষয়ে বাহাড়ছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মশিউর রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে খবর পায় কুদুমগুহা নামক জায়গার সিএনজি গতিরোধ করে দুইজন মানুষকে নিয়ে গেছে। কি কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তার রহস্য এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে অপহৃতদের উদ্ধার করার জন্য পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।

এদিকে অপহৃত হওয়া পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিনের ছোট ভাই উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরুদ্দিন মুকুল জানান, আমার বড় ভাই জহির উদ্দিন শামলাপুর বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে পল্লী চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করছেন।

রাতে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ চক্রের সদস্যরা তাকে এবং তার সাথে থাকা অপর যাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি পাহাড়ে দিকে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে তার ভাই কোথায় আছে কেমন আছে এ পর্যন্ত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার ভাইকে অক্ষত অবস্থায় মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী পরিবারের এক শুভাকাঙ্ক্ষী জানান, অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা দুই ব্যক্তির স্বজনদের কাছ থেকে কৌশলে দাবিকৃত মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, ঘটনাটি শুনার পর থেকে তাদের উদ্ধার করার পাশাপাশি ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার জন্য পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশাকরি করছি অপহৃতদের উদ্ধার করতে আমরা সক্ষম হবো বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে, স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে টেকনাফের পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় অন্তত ৫০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্য যারা ফিরে এসেছেন, তাদের বেশির ভাগেরই মুক্তিপণ দিতে হয়েছে।