পথশিশুদের পাশে উইনের প্রমি!

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
ঘরবাড়ি হারা,অনাথ,প্রতিবন্ধি,পরিবার থেকে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অনিশ্চিত জীবনযাপনে পথেঘাটে দিনাতিপাত করা শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ার্ল্ড ইনোসেন্ট নার্সারি(উইন)।

“Happiness Towards Victory”- এই স্লোগান কে সামনে রেখে এক ঝাঁক সাদা মনের সুন্দর মানুষ দের সঙ্গে নিয়ে-
বিগত কয়েকবছর যাবত রাজধানী ঢাকার পথে পথে শিশুদের একত্র করে তাদের প্রফুল্ল করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উইনের প্রতিষ্ঠাতা জান্নাতুল নাঈম প্রমি। সর্বশেষ গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রমির জন্মদিন উপলক্ষে সারাদিন পথশিশুদের মন প্রফুল্ল করতে তাদের সাথে একটা দিন সময় কাটিয়েছে তিনি।তাছাড়া প্রতি ঈদে পথশিশুদের জামা কাপড়ের ব্যবস্থা সহ অনেক রকম সহযোগিতা করে রাজধানীর বুকে আলোড়ন সৃষ্টি করে সংগঠনটি!
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জান্নাতুল নাঈম প্রমি বলেন,”প্রতিটি শিশু এক এক টি ফুলের মতো।আর এই ফুল গুলোকে নিয়ে সহানুভুতি ও মায়া মমতার মালা গাঁথার মাধ্যমে আমরা একটি সমাজ বির্ণিমান করতে পারবো বলে আমি মনে করি।ঢাকা শহরের এই ফুটপাতের স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশু গুলোর মাঝে যদি শিক্ষার আলো পৌঁছায় দেওয়া যায়,পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যায় এবং মৌলিক অধিকার গুলো এনশিউর করা যায়,তাহলে তারা ও সমাজের সম্পদে রুপান্তরিত হতে কতক্ষণ?এতে করে অপরাধ প্রবণতার হার অনেক খানি কমে আসবে।এটা সমাজের জন্যই মঙ্গলজনক বার্তা নিয়ে আসবে।বাচ্চারা করবে টা কি!?বাধ্য হয়ে অনেক সময় খারাপ কাজে জড়িয়ে যায়!তাদের দিকে উপর মহলের নজর দিতে হবে।ফুটপাতের মানুষ গুলো কে নিয়েই আমাদের দেশ।যেদিন থেকে ওরা ভালো থাকবে সেদিন থেকে আমরা সবাই মিলে ভালো থাকবো।জন্মদিন আসলে সবার জন্যই স্পেশাল একটা দিন।সবাই যেভাবে দুমুঠো শান্তি খুঁজে পায় সেভাবেই পালন করে।অসহায় ও সুবিধাহীন বাচ্চাদের সঙ্গে একটা দিন কাটাতে পেরেই আমি শান্তি পেলাম।সমজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমাদের কে আসলে তাদের প্রতি সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।যেমন আমার আরো অনেক প্ল্যান সাজানো থাকলে ও সব কিন্তু পূরণ করতে পারিনি।যতটুকু আমার একার পক্ষে সাধ্যানুয়্যায়ী সম্ভব হয়েছে ততটুকু করেছি।ব্যাক্তিগত প্রোগ্রাম গুলো কে এভাবেই সামজিক প্রোগ্রামে রুপান্তরিত করার আরো অনেক ইচ্ছা আছে আগামী তে।ইনশাআল্লাহ!
পুরো প্রোগ্রামের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অসংখ্য উইন স্বেচ্ছাসেবীদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং অনেক ঘাম ঝরা গল্প।তারা সাথে না থাকলে আসলে একার পক্ষে এভাবে কাজ করা সম্ভব হতোনা।
সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে উইনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিমের লিডার সুজন সহ -আজিজুল,শ্রাবনি,অভিজিৎ,ইয়ামিন,সাকিব,রিয়াজ,হেলাল,ফারজানা,রাফসানএবং শেবাকৃবি এর সাফকাতুল ও ঢাকা টিমের ওমর ফারুক।সহ সমাজের আরো অনেকে উদ্যোগী উদ্যমী সচেতন নাগরিকরা।….
এই পুরো প্রোগ্রামে এবং অতিতের উইনের সমস্ত প্রোগ্রাম গুলেতে যারা সার্বিক ভাবে মেধা শ্রম ও বুদ্ধি/পরামর্শ দিয়ে যেকোনো ভাবে হেল্প করেছে তাদের প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞ!সবাই আসলে আমাকে এভাবে পসিটিভলি গ্রহণ করে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে বলেই বার বার কাজ করার সাহস পাই!এবং শক্তি পাই।