বনায়ন রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে: ডিএফও সারওয়ার

ইমরান আল মাহমুদ •


সামাজিক বনায়ন তথা বনাঞ্চল রক্ষায় উপকারভোগী সহ সবাইকে আরও সচেতন এবং দায়িত্বশীল হতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা থেকে নিজেদের বিরত রেখে দায়িত্বের সাথে পাহারা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তবে-ই রক্ষা পাওয়া যাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে। বনের ভেতর প্রবেশ করে অবৈধভাবে পাহাড় কর্তন,মাটি পাচার রোধে গ্রুপ হয়ে সোচ্চার প্রতিবাদ জানাতে হবে।

বুধবার(১৭ এপ্রিল) দুপুরে উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বিটের সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের নিয়ে “ফরেস্ট নার্সারি স্থাপন ও টেকসই বনায়ন ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ কর্মশালায়” এসব কথা বলেন কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম।

সহকারী বন সংরক্ষক মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় তিনি আরও বলেন,”পাহাড়, গাছপালা না থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবেনা। ফলে বৃষ্টি কমে যাবে, পানির সংকট দেখা দিবে। তাই বনভূমি দখল না করে বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে হবে। নিজেদের মনে করে আন্তরিকতার সাথে বনায়ন পাহারা দিতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে বনায়ন ব্যবস্থাপনা আরও টেকসই করতে হবে। তবে-ই ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষা পাবে জীববৈচিত্র্য ও পাহাড় এবং বন্যপ্রাণী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন,”আমরা চেষ্টা করলে পাহাড়কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে থাইংখালী তেলখোলা এলাকার পাহাড় কাটা ও বালি পাচার বন্ধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। বর্তমানে অবৈধভাবে পাহাড়ের মাটি ও বালি পাচার প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সবাইকে বনায়ন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। বন সংশ্লিষ্ট যেকোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

পরে অবৈধ পাহাড় কাটা,বালি উত্তোলন ও বন্যপ্রাণী ধ্বংস রোধে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।