পাঁচ বিসিএস ক্যাডারের সুপার হিরো বাবা

মো. আক্তার হোসেন, দেবিদ্বার •

তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি জীবন সংগ্রামেও জয়ী। মো. শহীদুল হক (৭৫), কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাইড়া গ্রামের মরহুম সামছুল হকের ছেলে।

বর্তমানে বীর এই মুক্তিযোদ্ধা দেবিদ্বার পৌর শহরের মাদ্রাসাপাড়ায় নিজের বাড়িতে থাকেন। জীবনযুদ্ধে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফল হয়েছেন এবং সন্তানদেরও সফলতার পথ দেখিয়েছেন।

গড়ে তুলেছেন নিজের উত্তরসূরি হিসাবে, যারা আজ সুশিক্ষায় শিক্ষিত। শহীদুল হকের ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের পাঁচজনই বিসিএস ক্যাডার, বাকি দুজনের একজন অ্যাডভোকেট ও অপরজন ডাক্তার।

মো. শহীদুল হক বাইড়া এমএ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জাতীয় একটি সংবাদপত্রের মুরাদনগর প্রতিনিধি হিসাবে দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। ছিলেন মুরাদনগর প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

এছাড়া তিনি জেলা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর দুবার পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মো. শহীদুল হকের বড় সন্তান মো. নোমানুল হক সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট, দ্বিতীয় সন্তান রায়হানা কলি নারায়ণগঞ্জ আদমজী নগর এমডব্লিউ কলেজের সহকারী অধ্যাপক, তৃতীয় সন্তান মো. নাজমুল হক প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক হিসাবে কর্মরত, চতুর্থ সন্তান মো. নাইমুল হক কক্সবাজার ১৪ এপিবিএন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (পুলিশ সুপার), পঞ্চম সন্তান ডাক্তার রুমানা কান্তা বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন, ষষ্ঠ সন্তান মো. নাদিমুল হক তিতুমীর কলেজের প্রভাষক ও সপ্তম সন্তান রুখসানা কনা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

এ বিষয়ে মো. নাদিমুল হক বলেন, আমাদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে বাবা চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে কুমিল্লায় চলে আসেন। বাবা লেখাপড়ার বিষয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। বাবা না থাকলে আমরা ভাই বোনেরা হয়তো আজ এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। বাবা আমাদের কাছে বটবৃক্ষ।