মানব নয়, তিনি মহামানব: মাহদী হাসান রিয়াদ

মুসলিম রাস্ট্রগুলো আজ উত্তাল। রক্তক্ষরণ হচ্ছে প্রতিজন মুমিনের হৃদয়ে। সকলে প্রতিবাদের ঝড় তুলছে নিজ স্থান থেকে। জানান দিচ্ছে আপনা-অবস্থান।

কেউ করছে পণ্য বর্জন, কেউবা আবার মিছিল-সমাবেশে কাঁপাচ্ছে রাজপথ। মফস্বল শহরগুলোও আজ “নারায়ে তাকরিব” স্লোগানে মুখরিত— আলহামদুলিল্লাহ। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররাও ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই ঈমানী আন্দোলনে। এক বাবাকে দেখলাম, তাঁর দুই-আড়াই বছর বয়সী সন্তানকে কাঁধে নিয়ে রাজপথে মিছিল করতে।

এভাবে সর্বস্তরের মুমিন আজ ক্ষোভ প্রকাশে বিন্দু পরিমাণ কৃপাণতা করছে না। এসব হয়তো দাদাদের কাছে গল্প মানবের কল্পকাহিনির মতোই লাগছে, কিংবা নাটক-ফিল্মের শুটিং এর দৃশ্যও মনে হতে পারে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা, প্রায় সাড়ে ১৪ শো বছর আগের একজন মানুষকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করাতে এভাবে আন্দোলন হবে, মিছিল-সমাবেশ হবে, রাজপথ কাঁপবে, আধুনিকতার সাদরে আবৃত যুবসমাজের গায়ে এসে লাগবে, তা- অকল্পনীয়ও বটে।

কোত্থেকে আসলো এই নবী প্রেম? কেনইবা বিশ্বের মুসলমানরা পাগলপারা আরবের ওই মোহাম্মদের জন্য? এর উৎস কী? কারণ কী?

চলুন, একটু বিশ্লেষণ করা যাক…
আমার প্রাণের নবীকে নিয়ে বিশ্লেষণ করার মতো সাহস আমার নেই। নেই যোগ্যতাও। কীভাবে শুরু করবো? কোত্থেকে শুরু করবো? যেদিকে যাই, যেদিকে তাকাই, সবখানেই আমার নবীর সুন্দর আচার-আচরণ, চলন-বলন, মায়া-ভালোবাসা, শালীনতা-সামাজিকতা, উদারতা-মহানুভবতা, সাহসীকতা ও নির্ভয়তা আমাকে মুগ্ধ করে।

আমার রব যে প্রিয় নবীকে দুনিয়ায় অধীবাসীদের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। তিনিও পুরোটা জীবন উৎসর্গ করেছেন উম্মতের জন্য। জীবনের অন্তীম মুহূর্তে যখন মালাকুল মউত আসলেন, তখনও নবীজি চিন্তায় বিভোর উম্মতের জন্য। আরজি জানালেন, “মৃত্যু যন্ত্রণা খুবই প্রকট, আমার উম্মত এই কষ্ট সইতে পারবে না। উম্মতের সমস্ত কষ্ট আমাকে দিয়ে দাও।” সুবহানাল্লাহ।

নবীজির মক্কা জীবনী ছিল খুবই মর্মান্তিক! শুধুমাত্র উম্মতকে আলোর পথ দেখানোর জন্য কি নির্মম অত্যাচার তিনি সহ্য করেছিলেন, বলেকয়ে শেষ করার মতো নয়। তায়েফের ময়দানে মারা হয়েছিল পাথর, নবীর পিঠে ওঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল উটের নাড়ি-বুড়ি, পর হয়েছিল আপনজন। পরিশেষে নিজের জান বাজি রেখে ছেড়েছিলেন পৈতৃক ভিটা-মাটিও। জিবরাইল (আ.) বারংবার বলছিলেন, “হে নবী, আপনি একটু বলুন, অনুমতি দিন, মুহূর্তেই এই নগরী ধূলিসাৎ করে দেব।” রসুল (সা.) নীরব রইলেন। বরঞ্চ হেদায়েতের দোয়া করলেন।

হিজরতের পর মক্কা বিজয় করলেন। সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন। কাফেররা তখন ভয়ে থরথর কাঁপছিল। শুধুই ভাবছিল— না জানি, মোহাম্মদ কোন সময় আমাদেরকে হত্যা করে! অত্যাচারের পাল্টা জবাব দিয়ে বসে। অথচ দয়ার নবী ঘোষণা দিলেন— অতীতের কোনো কর্মের প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। সবকিছু ক্ষমা করে দিলাম।

শুধু তাই নয়, আমার দরজা সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং উন্মুক্ত থাকবে। ভুল শুধিয়ে যে-ই আসবে, সাদরে গ্রহণ করবো।

নবী যদি চায়তেন, কাফেরদের মতো ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিস্তনাবুদ করে দিতে পারতেন সকল অবিশ্বাসীদের। সেদিন কেউই বাঁধা দিতে পারতেন না আমার নবীকে। কী পরিমাণ দয়ালু হলে এরূপ নির্বিচারে ক্ষমা করে দেওয়া যায়, তা- আদৌও আমার জানা নেই।

রসুল (সা.) একটা নতুন চাদর গায়ে জড়ালেন, এক লোক এসে চাদরটি চায়লেন, চায়তে দেরি আছে, রসুল (সা.) দিতে চুল পরিমাণ দ্বিধাবোধ করলেন না, অথচ সবেমাত্র গায়ে জড়িয়ে ছিলেন চাদরটি। তৎকালীন সময়ে আরবের বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কেউই রসুল (সা.)-এর দরবারে সাহায্য চায়তে এসে হতাশ মুখে ফিরতে হয়েছে, এমন নজির নেই। রসুল ছিলেন দয়ার ভান্ডার। ভালোবাসার সাগর। মহানুভবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

নবীর আগমনের পূর্বে আরবে চলছিল বর্বরতা। জাহিলিয়াতের ভয়াল থাবায় হুমকির মুখে পড়েছিল জনজীবন। খুনখারাবি, অন্যায়-অত্যাচার, যিনা-ব্যভিচার ছিল রোজ দিনের কমন দৃশ্য। তন্মধ্যে অন্যতম ছিল শিশু হত্যা! তৎকালীন আরবে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া ছিল মহাপাপ। ফলস্বরূপ কন্যা সন্তানকে দেওয়া হতো মাটিচাপা। নির্দয় ও নিষ্ঠুর ভাবে কেড়ে নেওয়া হত তাদের জীবন।

এসব অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম আওয়াজ তুলেন বিশ্ব নবী। মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যান এসব রুখতে। কথাগুলো বলতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, সমাজ পরিবর্তন করাটা আদতে ততটা সহজ ছিল না। একা একজন মানুষ পুরো একটি জনগোষ্ঠীর রীতির বাইরে গিয়ে কথা বলাটা, মক্কার বাঘা-বাঘা কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করাটা চাট্টিখানি কথা নয়। এরপরও নবী হাল ছাড়েননি। ভয় পাননি, থমকে যাননি অল্পতে। যার ফলস্বরূপ বিশ্ব দেখেছিল আলোর পথ। ঘুম ভেঙে ছিল মনুষ্যত্বহীন মানুষের মনুষ্যত্বের। ফিরে পেয়েছিল সোনালী সুদিন। চারদিকে বয়ে ছিল শান্তির স্নিগ্ধ-শীতল হাওয়া।

নবীর সাংসারিক জীবন কতোইনা মধুময়। স্বামী হিসেবে ছিলেন অনন্য। আল্লাহর হুকুমে একাধিক স্ত্রী- থাকা সত্বেও জীবদ্দশায় কোনো স্ত্রী রসুল (সা.) বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেননি। এমন নিখুঁত ও নিপুণ ছিলেন আমার নবী।

মহানবী (সা.)-এর প্রথম স্ত্রী ছিলেন খাদিজা (রা.)। জিবরাঈল (আ.)-এর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের পর রাসুল (সা.) কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তখন খাদিজা (রা.) তাঁর সম্পর্কে ঐতিহাসিক এক সাক্ষ্য প্রদান করে বলেন, ‘আল্লাহ আপনাকে অপমান করবেন না। আপনি আত্মীয়-স্বজনের হক আদায় করেন, বিপদগ্রস্ত লোকদের সাহায্য করেন, মেহমানদারি করেন এবং সত্য প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন।’

আর আম্মাজান আয়েশা (রা.) রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসায় কবিতা লিখে বলেন, ‘আমাদের একটি সূর্য আছে, আকাশেরও একটি সূর্য/ আমার সূর্য আকাশের সূর্যের চেয়ে উত্তম/ কেননা পৃথিবীর সূর্য ফজরের পর উদিত হয়/ আমার সূর্য উদিত হয় সন্ধ্যার পর।’ (আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা : ৮৫)

মহানবী (সা.) তাঁর আচার-আচরণে স্ত্রীদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতেন। তাঁদের সঙ্গে নানা খুনসুটিও করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘আমি ও রাসুলুল্লাহ (সা.) একই পাত্র থেকে গোসল করতাম যা আমাদের মধ্যে থাকত। তিনি আমার চেয়ে অগ্রগামী হলে আমি বলতাম, আমার জন্য রাখুন! আমার জন্য রাখুন!!’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩২১)

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, ‘আমি হাড় থেকে গোশত কামড়ে নিতাম। তারপর আমি যেখানে মুখ রাখতাম আল্লাহর রাসুল (সা.) সেখানে তার মুখ রাখতেন। অথচ তখন আমি ঋতুমতী ছিলাম। আমি পাত্র থেকে পানি পান করতাম। তারপর তিনি সে স্থানে মুখ রাখতেন, যেখানে আমি মুখ রাখতাম। অথচ আমি তখন ঋতুমতী ছিলাম।’ (নাসায়ি শরিফ, হাদিস : ৭০)

রাসুল (সা.) কখনো তাঁর স্ত্রীদের শারীরিক বা মানসিকভাবে আঘাত করেননি। কোনো কারণে ক্রোধান্বিত হলে তিনি চুপ হয়ে যেতেন এবং তার চেহারা মোবারক লালবর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু তিনি কখনো কোনো কটু কথা বলতেন না। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘আমি রাসুল (সা.)-কে খাদেম ও কোনো স্ত্রীকে প্রহার করতে দেখিনি।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৬
একটু বলুন, বোঝান আমাকে; এমন নবীকে ভালো না বেসে কাকে ভালোবাসবো?

এবার কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক…
১.
আম্মাজান আয়েশা (রা.)-এর সাথে রসুল (সা.) ছয় বছর বয়সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এটাকে কেন্দ্র করে নাস্তিক কিংবা অন্য ধর্মের সুশীলরা নবীকে শিশুকামী বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
এখন প্রশ্ন হলো, নবী যদি শিশুকামী হতেন, আম্মাজান খাদিজা (রা.)-এর সাথে কেন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন? অথচ আম্মাজান খাদিজা (রা.)-এর বয়স ছিল চল্লিশ। রসুল (সা.)-এর বয়স ছিল পঁচিশ, সুতরাং দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট, রসুল (সা.) শিশুকামী ছিলেন না।
২.
আল্লাহর হুকুমে আম্মাজান আয়েশা (রা.)-কে ছয় বছর বয়সে বিবাহ করলেও, বাড়িতে নিয়ে যান নয় বছর বয়সে। নিঃসন্দেহে সাবালিকা হওয়ার পরই বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। নয়তো বা তৎকালীন কাফেররা এটাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম সৃষ্টি করতো। নবীর চরিত্রে অপবাদের কালিমা লেপ্টে দিতে অবহেলা করতো না।
কোনো কাফের কী এই বিষয়ে কোনোপ্রকার অপবাদ দিয়েছিল? ইতিহাসে এমন কোনো নজির কী দেখাতে পারবেন? প্রশ্ন রেখে গেলাম…

৩.
জানি, আমার উক্ত যুক্তিগুলো সুশীলরা মানতে চায়বে না। হেসে উড়িয়ে দিবে। আসুন, কিছু মহৎ ব্যক্তির বৈবাহিক অবস্থান জেনে নেওয়া যাক।

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, কবিগুরু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন “মৃণালিনী দেবী”কে বিবাহ করেন, তখন “মৃণালিনী দেবী’র বয়স ছিল, সাড়ে নয় কিংবা দশ বছর।

বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান যখন “রেনু বা শেখ ফজিলাতুন্নেছা”কে বিবাহ করেন, তখন “রেনুর” বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর।

ভারতের জাতির পিতা, মহাত্মা গান্ধী যখন “কস্তুরবাঈ মোহনদাস গান্ধী” র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, তখন “কস্তুরবাই মোহনদাস গান্ধী” র বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আপনার সমাজ যদি ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিবাহের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত না করে, শিশুকামী বলে আখ্যা দেয়, তাহলে উপরোক্ত মহৎ মনিষীদের ক্ষেত্রে কী বলবেন? তাঁদেরও কী শিশুকামী আখ্যা দিবেন? যদি তা-ই হয়, সেরেফ মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়েই কেন প্রশ্ন ওঠে? কই, কখনও তো উপরোক্ত ব্যক্তিদের বৈবাহিক জীবন নিয়ে প্রশ্ন ওঠালেন না। কেন এই বৈষম্য?

৪.
নাস্তিক কিংবা অন্য ধর্মের সুশীলদের যুক্তি হচ্ছে, বাল্যবিবাহের ফলে নারী শিক্ষা এবং নারীর মুক্তির পথ চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।

আম্মাজান আয়েশা (রা.)-এর ক্ষেত্রে ইতিহাস কী বলে একটু দেখে নেওয়া যাক।

আম্মাজান আয়েশা (রা.)-এর বিবাহ হয় ছয় বছর বয়সে। এ বয়সে আম্মাজান বড় কোনো শিক্ষার অধিকারী হওয়ার প্রশ্নই আসে না। সুতরাং আম্মাজানের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল বিবাহের পর।

আম্মাজান আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত এমন হাদিসের সংখ্যা হচ্ছে, ২২১০ টি। মুত্তাফাকুন আলাই বুখারী এবং মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে এমন হাদিসের সংখ্যা ১০৭৪ টি। তন্মধ্যে একক ভাবে বুখারী শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ৫৪ টি এবং মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে ৫৮ টি হাদিস। শুধু তাই নয়, যেকোনো প্রকার জটিল-কঠিন বিষয়ে যখন সাহাবারা আটকে যেতেন, তখন শরণাপন্ন হতেন আম্মাজান আয়েশা (রা.)-এর কাছে। আম্মাজান খুবই সুন্দর ও সাবলীল ভাবে যেকোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারতেন৷ সহজ ভাষায় বললে, আম্মাজান আয়েশা (রা.) ছিলেন একাধারে উচ্চতর ফকিহা ও মুহাদ্দিসা।

সেরেফ এতটুকুতে শেষ নয়, আয়েশা (রা.)-এর শিক্ষার পরিধি ছিল আরও বিস্তর। আম্মাজান ছিলেন মুজাহিদাও। সম্মুখ যুদ্ধে আম্মাজানের অগ্রণী ভূমিকা অপরিসীম। তৎকালীন সময়ে এরূপ আধুনিক বিজ্ঞানের ফুলঝুরি ছিল না।

ঠিক ওই সময়েও আম্মাজান আয়েশা (রা.) ছিলেন একজন সফল ডাক্তার। যুদ্ধে আহত সাহাবাদের করতে পারতেন নিখুঁত ভাবে অপারেশন ও অস্ত্র পাচারের মতো জটিল-কঠিন কাজ। আম্মাজান আয়েশা (রা.) এবং রসুল (সা.)-কে নিয়ে সেরেফ শিরোনাম বলেছি, এই সংক্ষিপ্ত লেখায় বিস্তারিত বলাটা সম্ভবও না। এরপরও কী বলবেন, বাল্যবিবাহের কারণে আম্মাজানের শিক্ষা এবং চলার পথ রুদ্ধ হয়েছিল? রসুল (সা.) শিশুকামী ছিলেন? তবুও যদি মানতে নারাজ হোন, তবে ধরে নেব— সমস্যাটা আপনার মস্তিষ্কের, আপনার মায়ের, আপনার জন্মের।