মিথ্যায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন সোলায়মান আলম শেঠ

এন.এইচ.নিরব, চট্টগ্রাম ব্যুরো

জাতীয় পার্টির সমালোচিত অন্যতম তথাকথিত শীর্ষ নেতা সোলায়মান আলম শেঠ নিজের কৃতকর্মের দোষ ঢাকতে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়ার অপকর্মে লিপ্ত। স্বভাবগত অভ্যাসের ভিত্তিতে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে ৬ই ডিসেম্বর ২০১৮ইং সোলায়মান আলম শেঠ জানিয়েছে, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা চলমান নেই। পেশায় ব্যবসায়ী সোলায়মান আলম শেঠের কিন্তু আদালতে রয়েছে নিজের নামে অসংখ্য মামলা যা এখনো পর্যন্ত চলমান।

তথ্য প্রমানাদি হলো: সি, আর মাললা নং ১২৫/১১, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পাঁচলাইশ জোন, চট্টগ্রাম। সি,আর মামলা নং ১৭২/২০১১ইং চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম। সি, আর মামলা নং ২(৩)১১, চীফ মেট্রোপলিটন আদালত, বায়েজীদ বোস্তামী। সি, আর মামলা নং চীফ ম্যাজিস্ট্রেট ম্যাজিস্ট্রেট ৬১২৭ বায়েজিদ। সি,আর মামলা নং ৫৯ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। সি, আর মামলা নং ১২২ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, পাঁচলাইশ জোন। সি, আর মামলা নং ১২৪ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী ও বিচারিক আদালত নং ০৪ (চকবাজার) প্রমুখ।

সম্প্রতি ১২৪/১৯নং মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব আল ইমরান সাহেবের আদালতে সি.আর. মামলা নং: ১২৪/১৯ (চকবাজার) পেরেন্টস্ কেয়ার স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ কর্তৃক দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। মাননীয় আদালত উক্ত মামলা আমলে এনে তার ও সহযোগিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। তাই সোলায়মান আলম শেঠ ক্ষিপ্ত হয়ে এলোমেলো মিথ্যা কথা বলছেন ও ভারসাম্যহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন স্কুল ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

তার সম্পর্কে যখন সাধারণ মানুষ থেকে জানতে চাই তখন সাধারণ মানুষ বলেন: একটা মানুষ এত মামলা থাকা সত্তে¡ও কিভাবে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে? এটাই যদি জাতীয় পার্টির অবস্থা হয় তাহলে আমরা জাতীয় পার্টির উপর আস্থা হারিয়ে ফেলাই স্বাভাবিক। সাধারণ জনগণ আরও বলেন সোলায়মান আলম শেঠের আরেকটি সুন্দর নাম আছে সেটি হলো ‘ভূমিদস্যু’।

তারা বলেন, সাধারণ জনগণকে ঠকানো এটা তার পুরনো অভ্যাস। মানুষকে সে কখনো মূল্যায়ন করে না শুধু নয় মানুষই মনে করেনা। বরং তুচ্ছ করে দেখে। জোর করে সহজ সরল মানুষের জায়গা ছিনিয়ে নিতে বিভিন্ন কলাকৌশলে, ফাঁদে ফেলে, নিজকে উঁচু মাপের রাজনীতিবিদ বলে জাহের করে, মামলার ভয় দেখিয়ে, বিভিন্ন ধরণের মামলা দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করে।

পেরেন্টস্ কেয়ার স্কুল এন্ড কলেজের মূল প্রতিষ্ঠাতা চট্টগ্রাম শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ৫০ জন পরিচালকদের মধ্যে ৩৯জন পরিচালকদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সোলায়মান আলম শেঠকে বহিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বলেন কোন মিটিংই হয়নি এবং কোন পরিচালক উপস্থিত ছিলেন না। দিনের আলোর মত প্রমাণিত সত্যকেও খন্ডিত করতে তার বিন্দুমাত্র লজ্জা আছে বলে মনে হয় না। তার প্রত্যেকটি কথায় এহেন হাস্যকর মিথ্যাচার দেখা যাচ্ছে। এরপরও জনগণ তাকে তার প্রাপ্য ‘মিথ্যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ উপাধি থেকে যদি বঞ্চিত করে ইহা তার প্রতি সম্পূর্ণ অবিচার হবে।

সাম্প্রতিক যে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে সোলায়মান আলম শেঠ সেগুলি একটু ফিরে দেখি :

স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক-শিক্ষিকার উপর হামলা
জাপার তথাকথিত নেতা সোলায়মান আলম শেঠসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সমনজারি করেছে আদালত। ঘটনার সূত্র ছিল স্কুলের জায়গা দখল করার অপপ্রয়াস।

নগরীর চকবাজার থানাধিন পেরেন্টস্ কেয়ার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জহরলাল ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করেন। এই ঘটনার বিষয়ে হামলার শিকার প্রফেসর জহরলাল ভট্টাচার্য বলেন, সোলায়মান শেঠ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বোয়ালখালীস্থ নিজস্ব জমি আত্মসাতের জন্যে দীর্ঘদিন যাবৎ যে চাপ দিয়ে আসছিলো তা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। নাম মাত্র মূল্যে সেই জমি বিক্রিতে অস্বিকৃতি জানালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয় বলে জানান প্রফেসর জহরলাল ভট্টাচার্য।

সেদিন ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শি স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত তিলতিল করে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছিল সুন্দরভাবে। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম ও পরিচালকবৃন্দ প্রতিষ্ঠানটি করেছিল দেশ ও জাতীর কল্যাণে কাজ করার জন্য। কিন্তু নগরীর চিহ্নিত ভূমিদস্যু সোলেমান শেঠ এই স্কুলের খরিদ করা জমি নামমাত্র মূল্যে তার নিকট বিক্রি করার জন্যে স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে স্কুল পরিচালনায় অক্ষম করে জমি বিক্রয় করতে বাধ্য করার জন্য নানান অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের নামে নানান অপপ্রচার চালিয়ে তিনি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে মরিয়া হয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে স্কুল প্রধান ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর ন্যাক্কারজনক এই হামলা চালায়।

স্কুলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামলার অভিযোগ অস্বিকার করে উল্টো স্কুলের চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানান মিথ্যা অভিযোগ করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালান এই তথাকথিত জাপা নেতা সোলায়মান শেঠ। শেঠের হামলার প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশ করা হয় চ্যানেল ২৪ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্কুল পরিচালকবৃন্দ, অংশীদারমন্ডলী, স্থানীয় জনগণ, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষকশিক্ষিকা সহ সর্বস্তরের মানুষ।

স্থানীয় জনগণ ও সর্বস্তরের মানুষ বলেন:

অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম স্বনামধন্য চিকিৎসক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক ও দক্ষ সংগঠক। অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিমের মত মানুষ বাংলাদেশে বিরল। যাকে বলা হয় ‘বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথির অগ্রদূত এবং মানবতার প্রতীক’। তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক, ভিত্তিহীন ভুয়া প্রচার চালাচ্ছে এই মিথ্যায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, ভূমিদস্যু সোলায়মান আলম শেঠ।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন এর একটা উক্তি আছে…….
You can fool all the people some of the time, some of the people all the time. But you cannot fool all the people all the time.
তুমি সমস্ত লোকদের কিছুক্ষণ সময় বোকা বানাতে পারবে, কিছু লোকদের সর্বক্ষণ বোকা বানাতে পারবে। কিন্তু সমস্ত লোকদের সর্বক্ষণ বোকা বানাতে পারবেনা তুমি।
তাই আমি এটা বিশ্বাস করি কেউ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমাকে সর্বস্তরে হেউ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার করলে সে পরাজয় বরণ করবেই। সমাজে ভালো কাজ করলে বাধা আসবে। বাধার দিকে লক্ষ্য না করে ভাল কাজ করতে থাকলে সমস্ত বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। বাধা দানকারী যতই শক্তিশালী হোকনা কেন আল­াহর রহমতে বাধা দানকারীর পতন ঘটবেই। টাকা আর পেশী শক্তি যতই বড় হোক উক্ত অহংকারীকে আল­াহু রাব্বুল আলামীন ধ্বংস না করে ছাড়বে না। ফেরআউন, হামান, কারুনের মত প্রভাবশালী যালেমদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্যই আল­াহ তাআলা এই সব কথা কোরআনে লিপিবদ্ধ করেছেন। আল­াহ সর্বশক্তিমান। আল­াহর কথা বললে অহংকারী প্রশ্ন করে, কিসের আল­াহ? নাউজুবিল­াহ! আমি নগন্য ব্যক্তি। আমি আল­াহর নিকট পানাহ চাই। আমি আল­াহর সাহায্য কামনা করছি। তিনিই আমার একমাত্র শক্তি।

শুধু এটা নয় আরো রয়েছে সা¤প্রতিক সাংবাদিকের সাথে সোলায়মান শেঠের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সভায় সাংবাদিক প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজীর সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈনুদ্দীন দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস এক বিবৃতিতে নিন্দা ও ক্ষোভ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সভায় নগরীতে পানি সরবরাহে অব্যবস্থাপনা, খোড়াখুঁড়িতে নাগরিক ভোগান্তি, ভুতুরে বিলে হয়রানিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে কথিত গ্রাহক প্রতিনিধি সোলায়মান আলম শেঠ ওয়াসা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিকদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় সাংবাদিক প্রতিনিধি মহসীন কাজী প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে বক্তব্য থাকলে বিধি মোতাবেক বক্তব্য দেয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার আহŸান জানালে সোলায়মান আলম শেঠ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা একটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নগরবাসীর পানি সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে একটি চক্র নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। গ্রাহকদের পানি সমস্যা সমাধান না করে ভুতুড়ে বিলের বোঝা জানিয়ে এবং চলতি রমজানে বিভিন্ন এলাকাকে পানি বঞ্চিত রেখে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার অপচেষ্টা চলছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ম অনুযায়ি ওয়াসার পরিচালনা পর্ষদে সম্মানিত গ্রাহকদের একজন প্রতিনিধি রাখার নিয়ম বিধান রয়েছে। এ পদে সোলায়মান আলম শেঠ ২০১২ সালে নিয়োগ পান। বিধি অনুযায়ি তার মেয়াদ তিন বছরে অর্থাৎ ২০১৫ সালে শেষ হয়েছে। কিন্তু তিনি রহস্যজনকভাবে আরও চার বছর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে সরকারের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। স¤প্রতি এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদ প্রকাশিত হয়।

এতে ক্ষুব্ধ সোলায়মান আলম শেঠ ওয়াসা বোর্ডের সভায় সাংবাদিক প্রতিনিধি মহসীন কাজীর উপর ক্ষিপ্ত হয়। যার প্রকাশ ঘটিয়েছে বোর্ড সভার গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বৈঠকে। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম ওয়াসাকে একটি জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সত্যিকার গ্রাহক প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহŸান জানিয়েছে। একই সাথে সাংবাদিক প্রতিনিধি কিংবা সাংবাদিকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে। অন্যথায় গণমাধ্যমকর্মীরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ার করেন।
সোলায়মান আলম শেঠের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে : বাবলু জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে ছবি তুলে বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি দাবিদার সোলায়মান আলম শেঠের গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে চট্টগ্রামে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। গত ৫ জুন নগর কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সংসদ সদস্য মাহজাবীন মোরশেদকে আহবায়ক করে নগর কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টি। কমিটি মেনে না নিয়ে নিজেকে সভাপতি দাবি করে দৌঁড় ঝাপ শুরু করেন সোলায়মান আলম শেঠ। আয়োজন করেন ইফতার পার্টিও। সভাপতি দাবি করায় দলীয় চেয়ারম্যানের তিরস্কারও হজম করতে হয়। কিন্তু এরপরও দমে যাননি তিনি। বুধবার দলীয় চেয়ারম্যানের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেন। নিজেকে সভাপতি দাবি করে সেই ছবিসহ গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোলায়মান আলম শেঠ দাবি করেন, দলীয় প্রধান শেঠকে আশ্বস্ত করেছেন যে, নগর জাতীয় পার্টিতে নতুন কোনো কমিটি দেওয়া হয়নি। পূর্বের কমিটি বহাল আছে।’ এতে প্রশ্ন উঠে মহানগর জাতীয় পার্টির কর্ণধার কে? এসব বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বলেন দলের কেন্দ্রিয় মহাসচিব ও কোতোয়ালী আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তিনি বলেন, ‘সোলায়মান নিজের কথা নিজে বলছেন। এটার কোনো গুরুত্ব নেই আমাদের কাছে। প্রত্যেক দলেরই একটি গঠনতন্ত্র আছে। সে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল চলে। কোনো কমিটি বহাল আছে কি, ভেঙে দেওয়া হয়েছে অথবা নতুন কমিটি করা হয়েছে সেটি ঘোষণা দেওয়া হয় গঠনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে। এটি আমাদের দলে যেমন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগেও একই নিয়ম অনুসরণ করে।’ “সংসদ সদস্য মাহজাবীন মোরশেদ ও কেন্দ্রিয় সহ সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমও যদি এরকম প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেরা নিজেদেরকে কমিটির প্রধান দাবি করেন সেটি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে কেন? মাহজাবীনকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে সেটি কেন্দ্র থেকে দপ্তর সম্পাদক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। এটা দলের প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ আমরা কেন্দ্রিয় কমিটির সবাই অনুমোদন করেছি।”

শুভ বুদ্ধির উদয় হোক সোলায়মান আলম শেঠের। নতুবা সারাটি জীবন প্রায়শ্চিত্তের কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার কারণ হয়ে দাড়াবে কৃতকর্মসমূহ।