‘মিনি কক্সবাজার’, পর্যটকদের ভিড়

ঘুরে বেড়ানোর নতুন জায়গা। কিন্তু এর প্রতিটি দৃশ্যই চিরচেনা। বালুর চরের বেঞ্চের উপর গা পাতিয়ে শুলেই দেখা মিলে পানি আর ছোট্ট ছোট্ট ঢেউ। মাথার ওপর রঙিন ছাতা, পাশেই বসা ডাব বিক্রেতা। ইঙ্গি পেলেই ডাবে কাঁচি চালাচ্ছেন তারা! কক্সবাজার বা পতেঙ্গা সৈকতের কথা বলা হচ্ছে না এখানে। এটা কোনো সমুদ্র সৈকতই নয়, জেগে ওঠা চর মাত্র! তবে সেখানে গেলে আপনার মনে ‌এটা বোধহয় কক্সবাজারের ‘মিনি সংস্করণ’!

বলছিলাম চাঁদপুরের পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে জেগে ওঠা চর। জেলা শহর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরত্বে এর অবস্থান। চরটি কারো কাছে মোহনার চর, কারো কাছে চাঁদপুরের সৈকত, আবার অনেকে ‘মিনি’ কক্সবাজার ডাকেন! এখানে সকালে বা বিকেলে এসে সূর্যাস্ত দেখে ফিরছেন কেউ। আবার কেউ আসছেন এক-দুই ঘণ্টার জন্য। প্রতিনিয়ত ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ভিড় বাড়ছেই। পরিবার নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ঘুরতে আসছেন এ চরে।

বালুচরে পর্যটকরা

বালুচরে পর্যটকরা

চাঁদপুর শহর থেকে দশ মিনিটের নৌপথ। বালুর চরে পৌঁছাতে পৌঁঁছাতে দেখা যাবে, লঞ্চ, মালবোঝাই সাগরের জাহাজের ছুটে চলা আর ইলিশ ধরা জেলেদের নৌকা। শুধু বালুর এ’চরই নয়, ঠিক উত্তরদিকে আছে লক্ষিমারা চর। এখানেও রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। সেফাত উল্লাহ নামের এক পর্যটক বলেন, চাঁদপুরে এটি নতুন আবিষ্কার। এখানে পাশেই শহর। স্থানীয়ভাবে সব ব্যবস্থা থাকায় সহজেই এখানে আসা যায়। তা ছাড়া আসা-যাওয়া ট্রলার ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ একেবারেই কম। বারবার আসা যাবে।

শুধু এ স্পটই নয়, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানালেন চাঁদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা। এদিকে চাঁদপুরের পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ করতে খুব দ্রুত বড় ধরনের বরাদ্দ আসবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।