রামুতে মৃতদেহ বের করতে চলাচলের পথ দখলমুক্ত করলো প্রশাসন

সোয়েব সাঈদ, রামু :


ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান মিনু বড়ুয়া। বাড়ির সামনের চলাচলের পথটি দখল হওয়ায় মৃতদেহ বের করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে সরকারি খাস জমিতে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করে চলাচলের পথ দখলমুক্ত করে প্রশাসন। রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার বৃহষ্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪ টার দিকে এ অভিযান চালান। প্রশাসনের এমন ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে স্থানীয় জনমনে।

কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর মিঠাছড়ি বড়ুয়া পাড়া গ্রামের সুদর্শন বড়ুয়া স্ত্রী মিনু বড়ুয়া অরণি বৃহষ্পতিবার বিকালে মারা যান। মিন বড়ুয়ার ছেলে রুবেল বড়ুয়া জানান- স্থানীয় মৃত বজ্রেন্দ্র ধরের ছেলে খোকন বড়ুয়া, বিনয় বড়ুয়া ও রিকু বড়ুয়া তার বাড়ির সামনের চলাচলের পথ দখল করে সম্প্রতি একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেন। এমনকি মায়ের মৃতদেহ বের করার জন্যও তারা পথ দিতে রাজি হচ্ছিলো না।

এতে নিরূপায় হয়ে তিনি বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার তাৎক্ষনিক গিয়ে চলাচলের রাস্তায় নির্মিত ঘেরা-বেড়া ও দোকান ঘর আংশিক ভেঙ্গে দিয়ে চলাচলের পথ দখলমুক্ত করেন।

বড়ুয়া পাড়া সমাজের সর্দার বাবুল বড়ুয়া জানান, চলাচলের পথ দখলমুক্ত করতে স্থানীয় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও সমাজের নেতৃত্বশীল ব্যক্তিবর্গ চেষ্টা চালালেও জবর-দখলকারিরা তাতে সাড়া দেননি। পরে রুবেল বড়ুয়ার মায়ের মৃতদেহও বের করতে দিচ্ছিলো না চক্রটি। অবশেষ এসিল্যান্ড এর নেতৃত্বে অভিযানে চলাচলের পথটি দখলমুক্ত হয়েছে। প্রশাসনের এ অভিযানে এলাকাবাসী আনন্দিত। এর ফলে একটি অসহায় পরিবার দীর্ঘদিনের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়েছে।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার জানিয়েছেন- কারো চলাচলের পথে বিঘ্ন সৃষ্ট করা একটা গর্হিত কাজ। এ ধরনের কাজ গণউপদ্রব। পারষ্পরিক সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিবেশীদের মধ্যে বজায় থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরী হয় না। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন সদা তৎপর থাকবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চলাচলের পথ দখলে অভিযুক্তরা জানান- জমিটি তাদের বাবা বন্দোবস্ত নিয়েছিলো। এমনকি চলাচলের পথ তাদের কিনে নেয়ারও প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। কিনে না নেয়ায় তারা সেখানে দোকান ঘর তৈরী করেছিলেন।