চকরিয়ায় লকডাউনে কর্মহীন শ্রমজীবীরা পাচ্ছে না ত্রাণ, নীরব আর্তনাদ

রাজু দাশ, চকরিয়া •


মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু। কক্সবাজারের চকরিয়ায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) তৃতীয় ঢেউ বিস্তার ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনে কর্মহীন ক্ষুধার্ত হতদরিদ্র অসহায় মুখের দৃশ্যগুলোর দিকে তাকালে কালজয়ী মানবতার এই গানটির কথা মনে পড়ে।

তৃতীয় দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন ৭ তম দিন হলেও এ অবস্থার উপজেলা ও পৌরসভার কর্মহীন হতদরিদ্র্য মানুষগুলো এখন পর্যন্ত পাচ্ছে না কোন সরকারি ত্রাণ সহায়তা। সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে যে সহায়তা দেওয়া হয়েছে তাও প্রয়োজনের তুলনায় অতি অল্প।

বুধবার (৭ জুলাই) সরজমিনে হতদরিদ্র্য কর্মহীন
ঘরবন্দী সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা প্রশ্ন রেখে বলতে চাইছেন, এভাবে বেকার বাড়িতে বসে না খেয়ে মরার চেয়ে, করোনা ভাইরাসে মরে যাওয়ায় ভালো। এছাড়া সরকারের একাউন্টে বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া কোটি কোটি টাকা যুক্ত হলেও আমাদের মত সাধারণ মানুষ এখনও কোন সহায়তা পাচ্ছে না।

পৌরশহরে দিনমজুরি রিদুয়ান ইসলাম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কাজ বন্ধ বৌ- ছেলে মেয়ে না খেয়ে এমনিতেই মরে যাবো। এর চেয়ে কাজ কর্মকরে মরে যাওয়ায় ভালা।

নাম অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানায়,
যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা খুব করুণ। এদের মধ্যে চরম হতাশা ও অস্বস্তি কাজ করছে। সব বন্ধ থাকায় তারা কেউ কাজে যেতে পারছে না। ফলে অনেকটা অসহায় অবস্থায় দিন পার করছে তারা। তাই দ্রুত ত্রাণ সহায়তা খুবেই প্রয়োজন।

জানা যায়, সম্প্রতি পৌরসভা এবং প্রতি ইউনিয়নে গরীব দুঃস্থদের মাঝে সামান্য ত্রাণ বন্টন করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম শতকরা একজন পেয়েছে কি না সন্দেহ। তাও আবার মেম্বার-চেয়ারম্যানদের ঘনিষ্ট জনরাই। এছাড়া এ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অসহায় দারিদ্র্য মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা করা হচ্ছে।