শীর্ষ ডাকাত জকিরসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মিষ্টি বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক •

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জকির বাহিনীর প্রধান জকির সহ ৩ জন নিহতের ঘটনায় টেকনাফের নয়াপাড়া ও শালবাগান ক্যাম্পের সাধারন রোহিঙ্গাদের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে। তারা মিষ্টি বিতরন করে আনন্দ উল্লাস করেছে পাশাপাশি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠাীর মাঝেও স্বস্থি দেখা দিয়েছে।

আজ বুধবার সকালে নয়াপাড়া ও শালবাগান ক্যাম্প দুই ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা নয়াপাড়া ক্যাম্পের সি ব্লকে মিষ্টি বিতরন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

এসময় জকির বাহিনীর হাতে নির্যাতিত সাধারন রোহিঙ্গারা এখানে জড়ো হয়। তারা র‌্যাব ও আইন শৃংখলা বাহিনীল জন্য দোয়া করেন।

রোহিঙ্গারা দাবী করেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে যাতে আর কোন বাহিনীর জন্ম না হয় সেজন্য তাদের নজরদারী যাতে অব্যাহত থাকে।

এসময় সেখানে জড়ো হওয়া ফরিদ আলম নামে একজন রোহিঙ্গা জানান, ডাকাত জকির তার ভাইকে হত্যা করেছে।
এসময় রোহিঙ্গা নারী জকির বাহিনীর হাতে নিহত শফিউল্লার স্ত্রী জানান, গত ডিসেম্বর মাসে জকির তার স্বামীকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে যায়। আজ পর্যন্ত তার লাশের হদিস মেলেনি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, বুধবার বিকাল পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। ময়নাতদন্তের পর নিহতদের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে । এছাড়া জকিরের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য গতকাল বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সাথে র‌্যাব সদস্যদের ঘন্টাব্যাপী গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে দুধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত জকির বাহিনীর জকিরসহ ৩জন নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দেশি বিদেশি ৯ টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। বন্দুকযুদ্ধে র‌্যাব এর এক সদস্য হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

র‌্যাব ১৫ অধিনায়ক আজিম আহমেদ জানান, টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে মুর্তিমান আতংক ছিল জকির। রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা ছিল তার ভয়ে তটস্ত। দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে সোমবার শালবাগান ক্যাম্পের পাশে জকিরের আস্তানা ঘিরে ফেললে র‌্যাব সদস্যদের উপর গুলিবর্ষণ করে তারা। এসময় দুই পক্ষের গুলাগুলিতে জকিরসহ ৩ ডাকাত নিহত হন। এঘটনায় র‌্যাব এর সদস্য হাতে গুলিবিদ্ধ হন।