সুন্দরীদের ‘লিডার’ বীনা রানী, রূপের ঝলক দেখিয়ে লুটতেন সর্বস্ব

অনলাইন ডেস্ক •

রংপুরে সুন্দরী নারীদের নিয়ে গড়ে তোলা একটি বড় প্রতারক চক্রের মূল হোতা বীনা রানী ওরফে মুক্তা ওরফে সুমিসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংঘবদ্ধ এই চক্রটি প্রেম, যৌনতা ও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সহজ-সরল মানুষদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এরা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কচি, আহসান হাবীব, শ্রী বিষ্ণু রায় ওরফে আকাশ, সেকেন্দার রাজা, শ্যামল ওরফে নুর ইসলাম, সোহাগী ওরফে রাজিয়া , জোনাকি ওরফে তিশা, জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে জান্নাতি, শাহনাজ ও লিজা মনি।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা ওসি আব্দুল রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ৩ মার্চ প্রতারণার মাধ্যমে নীলফামারীর ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলামকে রংপুর নগরীর নূরপুর করবস্থান এলাকার একটি ৪ তলা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখানোসহ মারপিট করে। পরে তাকে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা ও তার বন্ধুর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ধাপ এলাকা থেকে এই চক্রের মূল হোতা বীনা রানীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রংপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চক্রের আরো ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারক চক্রটি সহজ-সরল মানুষদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন উল্লেখ করে ওসি বলেন, সম্প্রতি বীনা রানীর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা ৮৫ হাজার দিতে বাধ্য হন। পরে ওই ব্যক্তি বীনার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিভিন্নভাবে রূপের ঝলক দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয়া এই চক্রের মূল হোতা বীনার বিরুদ্ধে ২টি মানবপাচার মামলাও রয়েছে।

গ্রেফতারদের কাছে থাকা ১৩টি মোবাইল ফোন, অন্যকে জিম্মি করে নেয়া তিনটি এটিএম কার্ড, নগদ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।