সেহরি ও ইফতারে গ্রামের মসজিদে মসজিদে খাবার নিয়ে হাজির সাংবাদিক কমল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা বছর যাদের ক্ষুদা নিয়ে দিন কাটে তাদের কথা মাথায় রেখে রমজানে ব্যতিক্রমি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এক সাংবাদিক। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নে প্রথম রমজান থেকেই দরিদ্র, প্রতিবেশি, এতিমখানা, হাফেজখানায় নিজ ঘরে রান্না করা খাবার নিয়ে মসজিদগুলোতে হাজির হচ্ছেন তিনি। মুসল্লিদের পরিবেশন করছেন সুস্বাদু খাবার।

বিভিন্ন এতিমখানা, হাফেজখানা ও মসজিদগুলোতে খাবার পৌঁছে দেয়া, খাবারের মান ঠিক রাখাসহ সব প্রক্রিয়া নিজেই তদারকি করেন। তিনি নিজেও করেন দরিদ্র মানুষদের সঙ্গে ইফতার। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবে নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। ছুটে চলছেন গোটা ইউনিয়ন পরিষদের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। প্রথম রমজান থেকে তার নেয়া সেহরি ও ইফতারের আয়োজন সাড়া ফেলেছে পুরো ইউনিয়নে।

বলছি শাপলা পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন হেলালির সন্তান সালাহউদ্দীন হেলালি কমলের কথা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও দেশি বিদেশি গণমাধ্যমের সুপরিচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিক। বিদেশি গণমাধ্যমে উচ্চবেতনের চাকরি অথবা বিদেশি চাকচিক্যময় জীবনের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ঢাকা থেকে ফিরেছেন নিজ গ্রামে। একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করছেন গ্রামের মানুষের উন্নয়নে। ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হচ্ছেন অসহায় মেহনতি মানুষের সামনে। তিনি সম্প্রতি শাপলাপুর ইউনিয়নের মানুষের কল্যাণের বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ঘোষনা করেছেন শাপলাপুর_বর্ষ। এ উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মহেশখালির শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা বৃত্তি ঘোষণা করেছেন। এতে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রতি আগ্রহ পোষন করা ও তাদের সাথে সাধ্যমতো দাঁড়ানো চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি মহেশখালী নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ও আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মহেশখালীর ২ জন শিক্ষার্থীকে ১ লক্ষ টাকা গবেষণা বৃত্তি প্রদানের ঘোষণা দেন।

দেশ প্রেম ও স্বাধীনতার প্রতি মানুষের অনুভুতি জাগ্রত করণে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার এ সন্তান। মহান স্বাধীনতার সুভেচ্ছা গ্রামের কোনায় কোনায় পোছে দিতে তিনি আয়োজন করে ভয়েস কলের এবং মানুষকে নিজের দেশ ও মাতৃ ভূমির প্রতি অগাদ ভালোবাসা অর্জন ও ইতিহাস ও উন্নয়নকে মনে রাখার কথা বলেন। সাধারণ মানুষের দেশপ্রেম এবং নাগরিক সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে গ্রামের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পালন করছেন জাতীয় দিবস সমুহ। বিভিন্ন দিবসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানা শহীদ মিনারে।

অনুসন্ধানী সাংবাদিক কমল বলেন, আমি সব সময় মা-মাটির টানে রাজধানী ছেড়ে ছুটে এসছি গ্রামে। ছাত্রজীবন থেকেই আমি মাটির প্রতি একটা টান অনুভব করি। যখন মাটির আমাকে প্রয়োজন হয়েছে, মানুষের প্রয়োজন হয়েছে আমি নিজে থেকেই ছুটে এসেছি। সাংবাদিকতা করেছি মানুষের প্রয়োজনে এবং এখন কাজ করছি মানুষের প্রয়োজনে। রিজিক উপরওয়ালা হাতে। আমি উছিলা মাত্র।

মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান ছিল সাংবাদিক কমলের পিতা নুরুল আমিন হেলালির। তার গোটা পরিবার যুদ্ধের সময় বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে। যার স্বীকৃতি স্বরূপ তার পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অসমান্য অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার কতৃক প্রদত্ত শাপলাপুরের একমাত্র “বীর নিবাস”ঘর উপহার পায়। সাংবাদিক কমল বাংলাদেশের প্রথমসারির গণমাধ্যমে কাজ করেন। সাংবাদিক কমল অনুসন্ধানি সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের মানুষের অধিকারের দাবি তুলে ধরেন। সন্ত্রাসবাদ ও সমাজের কালপীটদের মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে উঠে তার অনুসন্ধানি সংবাদ।