৯ম বারের মতো কক্সবাজার জেলায় শ্রেষ্ঠ এসআই মহসিন চৌধুরী-পিপিএম

কক্সবাজার জার্নাল প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ পুলিশ কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন চৌধুরী-পিপিএম বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলায় পর পর ৯বার “শ্রেষ্ঠ তামিল ওয়ারেন্ট” পুলিশ অফিসার হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন।

মামলার তথ্য উদ্ঘাটনে অনবদ্য অবদান রাখায় তাকে এই পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশে সততা, মেধা ও সাহসীকতার এক অনন্য উদাহরণ তিনি।

৬ এপ্রিল (শনিবার) সভায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ মূলক কার্যক্রম, কর্মদক্ষতা, কর্তব্যনিষ্টা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চৌকষ পুলিশ কর্মকর্তাকে এ সম্মাননা (এ্যাওয়াড) প্রদান করা হয়।

তিনি যোগদান করার পর থেকেই পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে সুনাম অর্জন অব্যাহত রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় অস্ত্র উদ্ধারকারী ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন, ডাকাত ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারে সাহসীকতার জন্য বিশেষ অবদান রাখায় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে রেকর্ড কক্সবাজার জেলায় ৯ম বারের মত শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে তিনি জুন, জুলাই, আগষ্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারী মাসে জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ডিসেম্বর এক মাস বাদ গেলেও তিনি আবারো স্বরূপে ফিরে এসেছেন।

তিনি ইতিপূর্বে গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদান রাখার জন্য তাকে বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানজনক এই (পিপিএম- সাহসিকতা) পদকে ভূষিত হয়েছেন।

সম্মাননা পাওয়া মহসিন চৌধুরী-পিপিএম এক প্রতিক্রিয়া বলেন,তিনি স্বীয় কর্ম এলাকায় আইন শৃংখলা সমুন্নত রাখতে ও বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের সুনাম অক্ষুন্ন এবং ধরে রাখতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।এবং তাকে এ সম্মাননা প্রদান করায় তিনি জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, এ গৌরব শুধু তার একার নয়, এটি থানার প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের। অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে এই গৌরব অর্জন হয়েছে।এ পুরস্কারটি আমার দায়বদ্ধতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ভালো কাজ করতে আরও উৎসাহী করবে। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করতে এবং আমি কখনও অন্যায়ের সাথে আপোষ করি না। অন্যায়কারীকে আমি কখনো ছাড় দেই না।

তাই সকলের ভালোবাসা নিয়ে নব উদ্যমে আরও ভালো কাজ করে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে দোয়া এবং আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, এসআই মহসিন চৌধুরী ২০০৩ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করেছেন। নিজের মেধা ও বিচক্ষণতা দিয়ে সমাধান করেছেন একাধিক মামলার জট।

তার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ২০১৭ সালে আইজি ব্যাজ, লক্ষীপুর জেলায় ৩৮ বার পুরষ্কার লাভ করেন। এরপর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চলে আসেন সমুদ্র নগরী কক্সবাজারে। এখানেও তিনি স্বাক্ষর রাখেন তার বিচক্ষণতার। সততা নিষ্ঠায় তিনি অল্পদিনে ভরসার নাম হয়ে ওঠেন। যার ফল হিসেবে কক্সবাজারে যোগদানের ১৪ মাসের মাথায় ২০২২ সালে আবারো পান আইজি ব্যাজ। এছাড়াও কক্সবাজার জেলায় ৩১ মাসে ২৭ বার শ্রেষ্ঠত্বের পুরষ্কার পেয়েছেন।