উপকূলের আইনশৃঙ্খলার অতন্দ্র প্রহরী সিদ্ধার্থ, অপপ্রচারের নিন্দা

আবদুল্লাহ আল আজিজ ও শহিদ রুবেল •

একজন সৎ, নির্ভীক, নিষ্ঠাবান, অপরাধীদের আতঙ্ক উখিয়ার উপকূলীয় এলাকা ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহা। তিনি যোগদানের পর থেকেই ইয়াবা ব্যবসা, মানবপাচার, জুয়াসহ সমাজের অবৈধ কার্যকলাপ কঠোর হস্তে দমন করে আসছেন। প্রশ্রয় দেননি আবাসিক হোটেল রিসোর্ট সমূহকেও। তার শক্ত হাতের অবস্থানের কারণেই অপরাধীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৯ মে (মঙ্গলবার) সাংবাদিকদের এমন কথাই বলছিলেন জালিয়া পালং ৮ নং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, এক সময় সমুদ্র উপকূলবর্তী ইনানী ছিল অপরাধীদের আস্তানা। প্রকাশ্যেই চলত মানবপাচার,ইয়াবা ব্যবসা, জুয়াসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড। অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় না দিয়ে দিনরাত মাঠে ময়দানে পরিশ্রম করে উপকূলীয় এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। এমন সময় অপরাধীরা, রাজনীতিবিদ নামধারী দালালরা সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে সিদ্ধার্থ সাহার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন।

তিনি মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ভুয়া ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের অনুগ্রহ করে বিভ্রান্ত হবেন না। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলতে চাই ইনানীর শান্তি রক্ষায় সিদ্ধার্থ সাহার মতন সৎ অফিসারই দরকার।

কথা হয় ইনানী উত্তর চোয়াংখালীর নৌ ঘাটের সভাপতি রবিউল ইসলাম (৩৫) সাথে। তিনি জানান, আমরা উপকূলের অধিকাংশ মানুষ মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। মৎস্য ঘাট ও মাঝিদের নিরাপত্তায় ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সবসময়ই কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। এক ফোন কলেই চলে আসেন ঘাটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে।

অপপ্রচারের ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মৎস্যখাত থেকে ইনানী পুলিশ ফাঁড়িকে কোন ধরনের চাঁদা বা অর্থপ্রদান করিনা। চাঁদার ব্যাপারে যে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে তা সবই ভিত্তিহীন।

একই কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা মাঝি (বহাদ্দার) সুরত আলম‌। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত নিরাপত্তার সাথে মৎস্য ঘাটে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছি।

স্থানীয় মৌলভী রহমত উল্লাহ (৪৫) জানান, একজন হিন্দু ছেলে হয়েও সিদ্ধার্থ সাহা ইমাম ও মৌলভীদের অত্যন্ত সম্মান করেন। আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং বিভিন্নভাবে এগিয়ে আসেন। সিদ্ধার্থ এর মতন পুলিশ অফিসার ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে আমরা কখনো পাই নি। শুনেছি সিদ্ধাত সাহা মুসলিমদের গালি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যে বা যারা ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেছেন তাদেরকে ধর্মীয় অপপ্রচারের দায়ে অতিসত্বর আইনের আওতায় আনা হোক।

এইসময় সাংবাদিকদের দেখে এগিয়ে এসে কথা বলেন, স্থানীয় চোয়াংখালী ও ভিন্ন ভিন্ন এলাকার শাহ আলম (৬১), আলতাজ মিয়া (৫৬), মোঃ আলম (৩৪), রাসেল (২২), রফিক (২০)সহ স্থানীয় শিক্ষিত যুবসম্প্রদায়। তারা বলেন, এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সিদ্ধার্থ সাহার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে সিদ্ধার্থ সাহা আছেন বিধায় আমরা এখন নিরাপদে ঘুমাচ্ছি। তিনি এমনকি দোকানে বসে লুডুর মাধ্যমে জুয়া খেলা শুদ্ধ বন্ধ করিয়েছেন। ইনানী এলাকায় রিসোর্ট কটেজের অসামাজিক কার্যকলাপ ওপেন সিক্রেট ছিলো।

তিনি বারংবার অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে তা বন্ধ করেছেন। তিনি কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আশ্রয় দেননি বরং তা শক্ত হাতে দমন করেছেন। এমনকি তিনি উপকূলীয় এলাকার জনপ্রতিনিধি অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় তাকেও আইনের আওতায় এনেছেন।

মূলত অপরাধী এবং ফাঁড়ির দালালরা তার কাছ অনৈতিক সুবিধা অর্জন করতে না পারায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমরা স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক সহ উপকূলবাসী সিদ্ধার্থ সাহার বিরুদ্ধে এহেন অপপ্রচারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আমরা মাননীয় পুলিশ সুপার সহ উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, ইনানীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায়, মানব পাচার কারী, মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের শক্ত হাতে দমনের জন্য সিদ্ধার্থ সাহার কোন বিকল্প নেই। ইয়াবা ব্যবসায়ী ও মানব পাচারকারীরা সৎ ও নির্ভীক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যেন ইনানী বাসীর ক্ষতি করতে না পারে। সেইসাথে অপপ্রচারে আপনাদের কোন ভাবেই বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।