ছিনতাই থামছে না বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:

ঢাকা মোহাম্মদপুর থেকে কক্সবাজারে স্বস্ত্রীক বেড়াতে আসি গত চারদিন আগে। শহরে একটি অভিজাত হোটেলে অবস্থান করছি আমরা। হঠাৎ মন চাইলো বাংলাদেশে সর্বপ্রথম স্থাপিত কক্সবাজারের সাফারি পার্কটি ঘুরে দেখার। উৎফুল্ল চিত্তে গতকাল শুাক্রবার চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বেড়াতে আসি।

ঘোরাফেরার একপর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে পার্কে লেকের উত্তর পার্শ্বে ছিনতাইয়ের শিকার হই আমরা। ৬-৭ জনের উঠতি বয়সের যুবক জঙ্গল থেকে দৌড়ে এসে দুজনের গলায় ছুরি ধরে গলার স্বর্ণের চেইন ও দামী আইফোন মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। চিৎকার দিয়ে আশেপাশের লোকজন ডাক দিলে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

পরে টুরিষ্ট পুলিশ অফিসে গিয়ে অভিযোগ করি। এখানকার পরিবেশ এরকম খারাপ জানলে জিন্দেগীতেও আসতাম না, ছি-ছি। বর্ননা দিলেন ঢাকা মোহাম্মদপুর থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা এক নব দম্পতী। ছিনতাইয়ের শিকার মোহাম্মদ হাসান পার্কে এসব অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সাফারি পার্কের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিচালনা পরিষদের অবহেলা বলে মন্তব্য করেন।

এবিষয়ে জানতে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের টুরিষ্ট পুলিশের ইনচার্জ সুনীল কুমার ঘোষ ছুটিতে থাকায় কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই আরিফুল ইসলাম বলেন, এক দম্পতির ছিনতাইয়ের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ছিনতাইকারীদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে এলাকাবাসী জানান, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও পার পেয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এমনকি টুরিষ্ট পুলিশ ছিনতাইকারী আটক করে থানায় দিলে ওখান থেকে অনায়াসে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।

সাফারি পার্কের পার্শ্ববর্তী ডাকবাংলা এলাকার যুবক আরিফুল হক জানায়, সাফারি পার্কটি আমাদের এলাকার সম্পদ। দেশ বিদেশে নাম করছে এটি। স্থানীয় কিছু মানুষরূপী জানুয়ারের বাচ্চারা এ পার্কের সুনাম নষ্ট করছে। এভাবে চলতে থাকলে একপর্যায়ে এ পার্কটি পর্যটক শুণ্যে পরিনত হবে। এসব অপকর্ম প্রতিকার করতে হলে পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন সে।