‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’র হাফ সেঞ্চুরি!

কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
আশ্রয় ও ঠিকানাহীন মানুষ এবং তাদের বদলে যাওয়া জীবনের ঘটনা নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক তথ্যচিত্র ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। চলতি বছরের ২০ মে থেকে এটি প্রচার হচ্ছে একুশে টেলিভিশনে। দর্শকপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার সুবাদে হাফ সেঞ্চুরি তথা ৫০ পর্বে এসেছে ধারাবাহিকটি। পঞ্চাশতম পর্বটি প্রচার হবে শনিবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টায়।
সুনামগঞ্জের মানুষের জীবনমান বদলে যাওয়া ঘটনা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। ইতোমধ্যে দেশের ১৬টি জেলার প্রতিটি উপজেলায় চিত্রধারণ করেছে অনুষ্ঠানটি।

সংশ্লিষ্টদের মতে, তথ্যচিত্রটি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন স্তরের প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন এবং সাধারণ দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সেই সুবাদেই এটি পঞ্চাশতম পর্বে আসতে পেরেছে।

এই ধারাবাহিক তথ্যচিত্র নির্মাণ টিমে রয়েছেন ৬ জন সদস্য। তারা দেশের প্রান্তিক অঞ্চগুলো ঘুরে ছিন্নমূল মানুষের জীবন পরিবর্তনের ঘটনাগুলো ধারণ করছেন। সরকারি উদ্যোগে কীভাবে তাদের জীবনে পরিবর্তন এসেছে, সেটাই উঠে আসছে এই ধারাবাহিকে।

এটি নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও একুশে টেলিভিশনের পরিচালক রবিউল হাসান অভী। উপস্থাপনায় আকবর হোসেন সুমন। গ্রন্থনায় আকবর হোসেন সুমন, দিপু সিকদার ও মানিক শিকদার। চিত্রগ্রহণ ও ড্রোন পরিচালনায় আছেন ফারুক হোসেন তানভীর ও আলী আহমেদ রুবেল। সম্পাদনায় শ্যাম সুন্দর নন্দী।

‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’র চিত্র:
ধারাবাহিক তথ্যচিত্রটি নিয়ে রবিউল হাসান অভী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসবমানুষ ছিলো ছিন্নমূল, তাদের কোনও স্থায়ী ঠিকানা ছিলো না। একটি সিলেকশন কমিটির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন এলাকা নির্ধারণ করে সেসব এলাকার আশ্রয়হীন মানুষগুলোর আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা নতুন ঘর পেয়েছে তারা ২ শতক জমির মালিক হয়েছে। যা তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করে করে তুলতে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। এসব সাফল্যগাঁথা তুলে ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

উল্লেখ্য, ভূমি-ঠিকানাহীন মানুষকে সরকারের পক্ষ থেকে ২ শতক জমির মালিকানা, একটি পাকা বাড়ির দলিল, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানিসহ আধুনিক নাগরিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে পরবর্তী প্রজন্ম, এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
বাংলা ট্রিবিউন