অবশেষে কোডেকের লজিস্টিক অফিসার প্রতারক সাজ্জাদ উখিয়া থেকে গ্রেফতার

বহু মামলার আসামী কোডেকের লজিস্টিক অফিসার প্রতারক সাজ্জাদ দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। সে চকরিয়া বড় ভেওলা তফসীর আহমদের পুত্র।

আত্মগোপনে থাকা সাজ্জাদকে ২৪ মার্চ উখিয়ার কোডেকের অফিস থেকে উখিয়া থানার এস.আই মো. মহসিন চৌধুরী গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

তিনি জানান, সোর্সের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সাজ্জাদ পুলিশের সাথে চোর পুলিশ খেলছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে তার সঠিক অবস্থান জানার পরও বহুরূপী সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিলনা।

অবশেষে কোডেক অফিস থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার আগ মূহুর্তে তাকে ২৪ মার্চ সকাল ১১ টার দিকে উখিয়াস্থ কোডেকের অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে ওয়ারেন্টমূলে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়।

সূত্র জানান, ঠকবাজ প্রতারক সাজ্জাদের নামে মামলা আছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা তিনটি। তার নামে প্রথম মামলা হয় ২৮ এপ্রিল যার নম্বর—৪৫, পরে একই বছরে নারী ও শিশু দমন আইনে, নারী নির্যাতন মামলা—১৭৭/২০, মুসলিম পারিবারিক আইনে সি আর মামলা—১০৩৭/২০, অন্যটি পারিবারিক মামলা—৭০/২০ সহকারী জজ আদালতে মামলা হয়।

স্থানীয় সুত্র এবং তার বন্ধু মহল থেকে জানা যায়, সাজ্জাদ একজন বড় ধরণে প্রতারক এবং ঠকবাজ এবং নারী লোভী। সে বিভিন্ন মানুষের সাথে ব্যবসার প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে টাকা নেয় পরে ওই টাকা আত্মসাৎ করে।

তার এক প্রতিবেশী জানান, মিথ্যা বানোয়াটভাবে ব্যবসায়ী সেজে টাকা আত্মসাত করা তার একটি অভ্যাস। পর গত কয়েকমাস ধরে তার গ্রামের বাসা চকরিয়ার ভেওলায় দুইজন লোক প্রতারণার শিকার হয়ে তার পিতার কাছে টাকা খুঁজতে যায় বলে জানান।

সাজ্জাদের কাছের এক বন্ধু নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাজ্জাদ নিজেকে পরিচয় দেয় বিভিন্নভাবে। কখনো ব্যবসায়ী, কখনো প্রফেসর। বিশেষভাবে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে অনেক সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে তিনি খবর জানেন। তার স্টাইল ছিল চেক দিবে পরে টাকা দিবেনা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা সূত্র জানান, পলাতক আসামী সাজ্জাদকে উখিয়া থানা থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আনার পর ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সুত্র: দেশবিদেশ