উখিয়ার হাটবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন!

স্টাফ রিপোর্টার, উখিয়া :


উখিয়া উপজেলার হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ব ঘোষিত ক্ষতিকর পলিথিন।

দীর্ঘদিন উপজেলা প্রশাসনের নির্বিকার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার তদারকি, মাথা ব্যথা না থাকা এবং কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা না করায় ক্ষতিকারক পলিথিনের ব্যবহার দিন দিন আশংকা জনক হারে বৃদ্বি পাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মরিচ্যার নুরুল আলম নুরু নামক এক ব্যাক্তি মরিচ্যা বাজার পুকুর পাড়ে এবং কোটবাজার রোহিঙ্গা মার্কেটে দোকান খুলে প্রশাসনের নাকের ডগায় দিয়ে পাইকারি, খুচরা ভাবে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই পলিথিন এবং তা ছড়িয়ে পড়ছে উপজেলার দারোগা বাজার, সদর ষ্টেশন,কোটবাজার, মরিচ্যা বাজার, সোনার পাড়া বাজার, পালংখালী বাজার, বালুখালী বাজার কুতুপালং বাজার সহ প্রত্যন্তঞ্চলে।

বাজারের হোটেল রেস্তোরা, মাছ-মাংস তরিতরকারি মুদি দোকান সহ প্রতিটি দোকানে মওজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত পলিথিন ব্যাগ। এসব পলিথিন দিয়ে ক্রেতাদের খাদ্যদ্রব্য সহ বিভিন্ন ধরনে মালামাল সরবরাহ করে।

এছাড়াও জীবন রক্ষাকারি ওষধের দোকান ফার্মেসীতে রোগীদের অবাধে ওষধ দেয়া হচ্ছে এ নিষিদ্ধ পলিথিনের মাধ্যমে। যার কারনে পরিবেশ মারাত্নক হুমকির পাশাপাশি স্বাস্থ্যহানী ও মারাত্মক রোগাক্রান্তের শিকার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানবসন্তান। এসব নিষিদ্ব ঘোষিক পলিথিনের অধিকাংশই আসে পার্শবর্তি দেশ মায়ানমার থেকে। এছাড়াও সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী গড়ে তুলেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের কারখানা। এসব কারখানা থেকে লাখ লাখ পলিথিন চলে আসে বাজারে। তাছাড়াও মায়ানমার থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ পলিথিন চোরাই পথে এনে উখিয়ার হাটবাজার সয়লাব করে তুললেও সংশ্লিষ্ট পরিবেশ অধিদপ্তর রয়েছে নিরব।

নুরুর রয়েছে একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন কারখানা থেকে এসব পলিথিন এনে মওজুদ করে রাখে এবং কৌশলে পৌছে দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে, ফলে সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে দেশ ও পরিবেশের মারাত্নক ক্ষতিকারক নিষিদ্ব পলিথিন।

দেশীয় পাটের তৈরি শপিং ব্যাগ ব্যবহারে মানুষ কে উদ্ভুদ্ধ করার পাশাপাশি দেশ ও জাতীর সার্থে অভিযান পরিচালনা পুর্বক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের অবাধ বিচরন, আগ্রাসন বন্ধ এবং অবৈধ পলিথিন কারখানার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া অতি জরুরী বলে মনে করেন পরিবেশবাদি সচেতন মহল।