এবার সিএনজি এলএনজি দিয়ে চলবে ট্রেন

ডেস্ক রিপোর্ট •

ডিজেলের পরিবর্তে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ব্যবহার করে ট্রেন চালানোর চিন্তা-ভাবনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর জন্য বিদ্যমান ইঞ্জিনগুলোকে (লোকোমোটিভ) ‘ডুয়েল ফুয়েল’ ব্যবস্থায় রূপান্তর করতে হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক হিসেবে ১০টি ইঞ্জিনে ডুয়েল-ফুয়েল ব্যবস্থা চালুকরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে প্রস্তাব দিয়েছে রেলওয়ে।

মূলত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও আধুনিক, উন্নত এবং সাশ্রয়ী প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তিকরণে সরকারের এ উদ্যোগ।

যুক্তরাজ্যের জি-ভলুশন ও এক্সপ্রোনেট কোম্পানি ডিজেলচালিত ইঞ্জিনকে সিএনজি বা এলএনজির মাধ্যমে ডুয়েল ফুয়েল ব্যবস্থায় রূপান্তরের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দুই দফায় রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া সফরের বিষয় জানাতে গতকাল শনিবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলের ইঞ্জিনগুলোর জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হচ্ছে।

ট্রেনের ইঞ্জিনগুলোকে সিএনজি বা এলএনজিতে রূপান্তরের এই ব্যবস্থা পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী ও টেকসই। রাশিয়ার ট্রান্স ম্যাশ হোল্ডিং (টিএমএইচ) কোম্পানির সঙ্গেও একই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ট্রেনের ইঞ্জিনগুলোকে সিএনজি বা এলএনজিতে রূপান্তরের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার একাধিক কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন পরিচালনা শুরু হয়নি। সব ট্রেনে জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ব্যবহৃত হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন চালুর জন্য একটি সমীক্ষার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন প্রবর্তন অনেক ব্যয়বহুল। সারা দেশে এটি প্রবর্তনের জন্য মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। কাজেই বিদ্যুতের দিকে না গিয়ে যদি গ্যাসের দিকে যেতে পারি তাহলে আমাদের জন্য এটা সুবিধার। আমরা আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছি- আপনারা এই প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। পরীক্ষামূলক হিসেবে ১০টি ইঞ্জিনে ডুয়েল-ফুয়েল ব্যবস্থা চালু করেন। তারপর যদি দেখি যে এটা ব্যয়সাশ্রয়ী, তাহলে আমরা পরবর্তী সময়ে বড় পরিসরে কাজ করতে পারি বলে তাদের জানিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ূন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক ডি এন মজুমদারসহ মন্ত্রণালয় ও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।