এসএসসিতে ফেল করা আঁখি পুনঃনিরীক্ষায় পেলো জিপিএ-৫

ইমরান আল মাহমুদ:
উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এ বছরের এসএসসি(ভোকেশনাল) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনস্ট্রাকশন বিভাগ থেকে পরীক্ষার্থী ছিলো তাসনিয়া সুলতানা আখিঁ।

সব বিষয়ে অংশ নিয়ে সম্পন্ন করে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা। গত ২৮ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে প্রকাশিত হয় এসএসসি, দাখিল, ভোকেশনাল ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। সে ফলাফলে অকৃতকার্য হয় তাসনিয়া। কিন্তু তা কিছুতেই মেনে নিতে নারাজ সে। নিজেকে বুঝাতে না পেরে ফেল করা৷ বিষয় ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করে। আবেদনের ফলাফল প্রকাশিত হয় গত দুদিন আগে অর্থাৎ শনিবার(২৪ ডিসেম্বর)।

ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা আঁখি অনলাইন থেকে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফলাফল দেখার অপেক্ষায় থাকে। তার দুশ্চিন্তায় পরিবারসহ সবাই চিন্তামগ্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু না,প্রকাশিত ফলাফলে সে জিপিএ-৫ পায়। মহাখুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় সবাই। তার এ ফলাফল সবাইকে আনন্দের সাগরে ভাসিয়েছে।

সবাইকে তাক লাগিয়ে পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের তালিকায় নিজের নাম যোগ করে সংখ্যাটি ৩৫ হয়। এ ফলাফলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ সবাই খুশিতে আত্মহারা। তাসনিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নের রুহুল্লার ডেবা এলাকার ফরিদ আলম ও রেশমা আক্তারের মেয়ে।

অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে তাসনিয়া সুলতানা আখিঁ জানায়,”প্রথম যখন এসএসসির ফলাফল ঘোষণা করা হয় তখন এক বিষয়ে ফেল আসে। তখন খুবই হতাশ হয়েছিলাম। পরে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করে ফেল করা বিষয়ে জিপিএ-৫ সহ পুরো ফলাফল জিপিএ-৫ আসে। আমি এবং আমার পরিবার সহ সবাই এ ফলাফলে অত্যন্ত আনন্দিত। আমার এ ফলাফলের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা ছিলো বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।”

মেয়ের ফলাফলের বিষয়ে আঁখির পিতা ফরিদ আলম বলেন,”আমার মেয়ে আঁখি স্কুলে থাকাকালীন সময় থেকে ভালো ছাত্রী ছিলো। এসএসসি পরীক্ষার প্রথম ফলাফলে এক বিষয়ে অকৃতকার্যের খবরে সবাই হতাশ হই। পরে পুনরায় নিরীক্ষার জন্য আবেদন করলে ঐ বিষয়ে পাশ সহ জিপিএ-৫ অর্জন করে। এ ফলাফলে আমরা অনেক খুশি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

তাসনিয়া ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এবং সে লক্ষ্যে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায় সে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর হোসেন বলেন,”তাসনিয়া আমাদের বিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্রী। পরীক্ষার প্রথম ফলাফলে তাকে অকৃতকার্য দেখানো হয়। পরে পুনঃনিরীক্ষার আবেদনে জিপিএ-৫ আসে। তার এ ফলাফল আমাদের বিদ্যালয়ের সুনাম আরও বৃদ্ধি করেছে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।”