কক্সবাজারে ফের সক্রিয় মাদক কারবারিরা: চলছে রমরমা ব্যবসা

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল •


কক্সবাজার শহরে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। মেজর (অব.) সিনহা হত্যার পর থেকেই কক্সবাজার শহরে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তেমন তৎপরতা নেই বলে দাবী সচেতন মহলের।

এভাবেই তৎপরতা বেড়ে গেলে এক সময় মাদক ব্যবসায়ীদের রাজত্বেই হবে পুরো শহর। ফলে কক্সবাজার শহলে এখন হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক।

র‍্যাব, ডিবি ও মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকের সাথে কিছু পাচারকারী ধরা পড়লেও মূলহোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছেনা। এবিষয় স্থানীয়দের মধ্যে নানা ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ ছাড়াও সিনহা ঘটনার পর থেকে মাদক ব্যবসার নেপথ্যে থাকা প্রভাবশালীরা নানাভাবে পুলিশকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ভূমিকায় রয়েছে বলে জানা গেছে কক্সবাজার পুলিশ প্রশাসন সুত্রে।

এদিকে,কক্সবাজার শহরের বিশেষ করে প্রবেশমূখ বাসটার্মিনালের আশপাশে, দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া বিভিন্ন এলাকায়, বার্মিজ মার্কেটের আশপাশ, নুনিয়ারছড়ায় বিভিন্ন এলাকায়, পর্যটন স্পট কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনে প্রতিনিয়তেই মিলছে মদ, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য। ইয়াবা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান এখন ঢাকা ও নারায়াণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে এসব বড় চালান ধরা পড়ছে র‍্যাব-পুলিশের হাতে।

সূত্র জানায়, মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান হত্যাকান্ডের ঘটনায় টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গ্রেফতার ও সেই থেকেই মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশের মাদকবিরোধী কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। মাদক ব্যবসার নেপথ্যে থাকা শক্তিশালী সিন্ডিকেট নানা কৌশলে পুলিশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে কক্সবাজারে মাদকের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা রাখা পুলিশ কর্মকর্তারা কিছু হলেও বিব্রত। পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানায় মাদকের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’ ভূমিকায় আছে। যখনই মাদকের খবর পাওয়া যাচ্ছে তখনই অভিযান হচ্ছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার (ওসি তদন্ত) পুলিশ পরির্দশক বিপুল চন্দ্র দে বলেন, পুলিশ প্রশাসন মাদকের একেবারেই জিরো টলারেন্স। যেখানেই মাদক সন্ধান পেয়ে থাকি সেখানেই আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।