কক্সবাজারে মাঠ নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই ক্রিকেটারদের!

শহিদুল ইসলাম ইমরান •

কক্সবাজারের ক্রিকেটারদের খেলার জন্য নির্দিষ্ট মাঠ না থাকায় একদিকে প্রেকটিস করতে অসুবিধা অন্যদিকে বেশি খেলতে না পারার আক্ষেপ। এছাড়া মাঠের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে কক্সবাজার ক্রিকেট লীগও।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রেকটিস করে গেলেও ম্যাচ খেলতে না পারার কারণে বয়সভিত্তিক টুর্ণামেন্টে অন্যান্য জেলার ক্রিকেটারদের থেকে পিছিয়ে থাকে কক্সবাজারের ক্রিকেটাররা। যার ফলস্বরূপ অনেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় থাকার পরেও ক্রিকেটাররা উঠে আসতে পারছে না।

কক্সবাজারের জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম জানিয়েছেন, কক্সবাজারের ক্রিকেটারদের কোন নির্দিষ্ট মাঠ না থাকায় ফুটবল স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা চালাতে হয়। যার কারণে তাদের নিয়ে প্রেকটিস শেষে আলাদা ম্যাচ খেলানোর সুযোগ হয়ে ওঠেনা। তাই খেলোয়াড়দের নির্দিষ্ট মাঠ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রুহুল আমিন স্টেডিয়ামটি ফুলবলের আলাদা স্টেডিয়াম দাবি করলেও সেই স্টেডিয়াটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার। সুতরাং যেখানে সব ধরনের খেলোয়াড়দের অধিকার আছে ম্যাচ খেলার।

কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সেক্রেটারী বলেছেন, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির মাঠ ক্রিকেটারদের ব্যবহারের সুযোগ দিলে সারাবছর প্রিমিয়ার প্রথম বিভাগ সহ সকল ধরনের টুর্নামেন্ট চালাতে পারবে কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

জেলা কোচ আশরাফুল আজিজ সুজন জানিয়েছেন, কক্সবাজারে মাঠ না থাকার কারণে চকরিয়া, ঈদগাঁওতে গিয়ে ক্রিকেটারদের ম্যাচ খেলতে হয়।

সিনিয়র ক্রিকেটার ও কক্সবাজার কোয়াবের সভাপতি ফরহাদ বলেন, ম্যাচ খেলতে না পারার কারণে কক্সবাজারের ক্রিকেটাররা বয়সভিত্তিক টুর্ণামেন্টে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে থাকে।

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিসিবির ভেন্যু ম্যানেজার জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা ক্রীড়াসংস্থা ও মেয়র ও এমপিরা যদি একটি মাঠের ব্যবস্থা করে দেন তবে বিসিবি তাদের অর্থায়নে মাঠ ও উইকেট তৈরি করে দিবেন।

তাই ক্রীড়ামোদীরা বলছেন, কক্সবাজারের ক্রিকেটারদের একটি সুনির্দিষ্ট মাঠ হলে খেলায় উন্নতি ও প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসতো।