জ্বলন্ত বিমানের জরুরি অবতরণ, নারী ও শিশুসহ নিহত ৪১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন লেগে যাওয়ায় মস্কোর বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী রুশ বিমানের জরুরি অবতরণের পরও বাঁচানো গেলো না ৪১ জনকে। বিমানটির ৭৮ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩ টার (স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টা) দিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এসব তথ্য জানিয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির বরাত দিয়ে সংস্থাটি বলছে, অগ্নিকাণ্ডে এরোফ্লোট এয়ার লাইনের বিমানটি বিধ্বস্তের ঘটনায় একজন নারী কর্মীসহ মোট ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ওই একই কমিটির বরাত দিয়ে দ্যা গার্ডিয়ান, স্কাই নিউজ, দ্যা মস্কো টাইমস, বিবিসি আরও জানায়, নিহত ৪১ জনের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে।

যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটির জরুরি অবতরণ

যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটির জরুরি অবতরণ

এদিকে যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, লেজের অংশে আগুন-জ্বলা অবস্থায় দ্রুত অবতরণ করে বিমানটি। এরপর রানওয়েতে থাকা অবস্থাতেই কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চারপাশ। 

বিমানে অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে আরও জানা যায়, সুখোই সুপারজেট-১০০ নামের একটি বিমান স্থানীয় সময় (৫ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় মস্কোর শেরেমিয়েতোবো বিমানবন্দর থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর মুরমানস্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই আগুন লাগায় ফের শেরেমিয়েতোবো বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। তবে কী কারণে অগ্নিকাণ্ড ও জরুরি অবতরণের ঘটনা ঘটেছে তা পরিষ্কার নয়। এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

কমিটি জানায়, মস্কোর শেরেমিয়েতোবো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটিতে সমস্যা হয়েছিল। আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই বিপদে পড়ার সংকেত পাঠায় বিমানটির কর্মীরা। তবে প্রথমবার জরুরি অবতরণ করতে গিয়েও ব্যর্থ হয় বিমানটি।