টেকনাফে ৫৩টি বিদ্যালয়ে ১০৫টি শিক্ষকের পদ শূন্য

জসিম মাহমুদ :
টেকনাফ উপজেলায় ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০৫টি পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে ৭ টিতে প্রধান শিক্ষক ও ৪৬টিতে সহকারী শিক্ষকের ৯৮টি পদ শূন্য রয়েছে।

শিগগিরই ওইসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকেরা। তারা ধারণা করছেন এ কারণে পাঠদান ব্যাহত ও প্রশাসনিক জটিলতা বাড়ছে।

টেকনাফ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় ৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ৭২৩জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে ৪০২শিক্ষকের পদ থাকলেও ৭ টিতে প্রধান শিক্ষক ও ৪৬টিতে সহকারী শিক্ষকসহ ৫৩টিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। তার মধ্যে দুটি বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষক থাকলেও আরও ৪৪টি বিদ্যালয়ে ৯৮জন সহকারী শিক্ষক নেই। ৪২জন শিক্ষক প্রশিক্ষণে, কয়েকজন মাতৃত্বকালিন ও মেডিকেল জনিত ছুটিতে রয়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এরশাদুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের অনেক পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। উপজেলায় হ্নীলা আর্দশ ও উলুবনিয়া দুটি স্কুলে একজন করে শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। এতে করে পড়াশোনায় চরম ক্ষতি হচ্ছে।

জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ৩৮১ জন শিক্ষার্থী। সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ রফিক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। ওই বিদ্যালয়ে চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে একমাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বিদ্যালয়ে আরও কমপক্ষে চারজন সহকারী শিক্ষক দরকার।আলীর ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক সোলতান আহমদ বলেন, প্রধান শিক্ষকসহ পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।

প্রধান শিক্ষক না থাকা ৭টি বিদ্যালয় হচ্ছে হ্নীলা আদশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লম্বরী, জিনজিরা, উলুবনিয়া, হাজমপাড়া, আলীর ডেইল এবং চৌধুরীপাড়ার হাজী ইসলাম শাহ জাহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

চৌধুরীপাড়ার হাজী ইসলাম শাহজাহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম বলেন, মাসে কমপক্ষে ১০-১২ কর্মদিবসে নানা কাজে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে যেতে হয়। তখন দুজন শিক্ষক দিয়েই প্রাক-প্রাথমিকসহ ছয়টি শ্রেণির ক্লাস চালানো হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে পড়ানো যায় না।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, সেসব বিদ্যালয়ের একটি তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পূন্য পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে।