তরুণী চম্পা ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত প্রধান আসামিকে পুলিশে দিল জনতা

শাহীন মাহমুদ রাসেল ◑

কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা চম্পা (১৭) হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি সাজ্জাদ হোসেন (২৮) কে ধরে পেকুয়া থানা পুলিশকে দিলো স্থানীয় জনতা।

সোমবার (১১ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে আটক করা হয়। গত (৬ মে) সিএনজি যোগে চম্পা চট্টগ্রাম শহর থেকে নিজ বাড়ি খরুলিয়ায় ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে চকরিয়া মরংঘোনা এবিসি মহাসড়কে চলন্ত গাড়ি থেকে ধর্ষণের পর তাকে ছোড়ে ফেলে দিয়ে নিমর্মভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

চম্পা খরুলিয়া এলাকার নয়াপাড়া গ্রামের নছিমন চালক রুহুল আমিনের মেয়ে। ঘটনার পরের দিন র‍্যাব সিএনজি চালক জয়নাল আবেদীনকে পেকুয়া সদরের নন্দীরপাড়া থেকে আটক করে। এ সময় ওই সিএনজি গাড়িটিও জব্দ করে র‍্যাব।

জয়নাল নন্দীর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। র‍্যাবের কাছে জয়নাল সাজ্জাদ হোসেনও ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। আজ সকাল ১০টার দিকে পেকুয়া সদর শেখের কিল্লা ঘোনা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে জনতা পুলিশে সোপর্দ করে। সাজ্জাদ হোসেন সদর ইউনিয়নের শেকেরকিল্লাঘোনা এলাকার আবুল হোসেন প্রকাশ পুতুর ছেলে।

স্থানীয়ারা জানান, সাজ্জাদ একজন মাদকসেবী। টানা পার্টির অন্যতম সক্রিয় সদস্য। এলাকায় চুরি চামারির সাথে জড়িত। তার অত্যচারে অতিষ্ট ছিল এলাকাবাসি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। সে একজন দুধর্ষ ও ভয়াংকর প্রকৃতির লোক।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল আজম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ সকালে স্থানীয়রাই এই ব্যক্তিকে ধরে পুলিশকে খবর দিয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে।