থার্টি ফার্স্টে পর্যটকদের সাড়া নেই কক্সবাজারে

আহমদ গিয়াস ও সুনীল বড়ুয়া :

প্রতিবছর দুই ঈদের ছুটি এবং থার্টিফার্স্টে দেশের প্রধান অবকাশযাপন কেন্দ্র কক্সবাজারে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে। এসময় হোটেল–মোটেলে শতভাগ রুম বুকিং থাকে। কক্ষ না পেয়ে অনেকেই রাত কাটান খোলা আকাশের নীচে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। থার্টি ফার্স্টে পর্যটকদের তেমন সাড়া নেই কক্সবাজারে।

হোটেল মালিকরা বলছেন, কক্সবাজারের হোটেলগুলোর বেশির ভাগ কক্ষ এখনও ফাঁকা। একদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং অপরদিকে কক্সবাজারে আউডডোর–ইনডোর কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকায় এবার পর্যটকদের সাড়া নেই বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম সার্ভিস এসোসিয়েশন, কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক ও হোটেল–মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, কক্সবাজারের হোটেলগুলোর বেশির ভাগ কক্ষ এখনও খালি। কিছু হোটেলে মাত্র ১০% থেকে ১৫% কক্ষ বুকিং হয়েছে। শনিবার (গতকাল) সরকারী ছুটির দিনেও আশানুরূপ পর্যটক ছিল না।

কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ দৈনিক আজাদীকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে মানুষ ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়া এখনও পর্যন্ত স্কুলগুলোতে ভর্তি কার্যক্রম চলমান। সবমিলে এবারের থার্টি ফাস্ট নাইটে পর্যটকদের সাড়া নেই।

নির্বাচনের কারণে উন্মুক্ত মঞ্চে কনর্সাট আয়োজনে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু পর্যটক নেই, সে কারণে হোটেলগুলোতে ইনডোর কোনো আয়োজনও এবার হচ্ছে না। শহরের পাঁচ তারকা হোটেল কক্সটুডের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবু তালেব শাহ দৈনিক আজাদীকে বলেন, নানা কারণে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। পুরো অন্যান্য বছর রুমের জন্য হাহাকার তৈরি হলেও এবার ওইদিন ৩৫ ভাগ বুকিং আছে।

হোটেলমালিকেরা জানান, গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের হরতাল–অবরোধ কর্মসূচির কারণে টানা দেড় মাস কার্যত পর্যটক শূন্য ছিল কক্সবাজার। এ কারণে শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল–মোটেলের অধিকাংশ কক্ষ খালি পড়ে ছিল। তবে বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের ছুটিতে ব্যবসা কিছুটা চাঙা হলেও পরে আবার পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে কক্সবাজার।

হোটেল মালিকরা জানান, কক্সবাজারে পর্যটকদের আবাসনের জন্য রয়েছে ছোট বড় ৩৮০টি হোটেল–মোটেল–গেস্টহাউজ–কটেজ রয়েছে। যেখানে লক্ষাধিক পর্যটকের রাত যাপনের সুবধা রয়েছে।