দুটি প্রেমের কাহিনি, মালয়েশিয়ান তরুণীর বাংলাদেশ উড়ে আসা, ভারতীয় তরুণীর জার্মানি উড়ে যাওয়া

ডেস্ক রিপোর্ট •

বাংলাদেশের নোয়াখালীর চৌমুহনী গ্রামের ছেলে ফরহাদ হোসেন। মালয়েশিয়ায় চাকরি করতে গিয়ে মন দিয়ে বসলো লাডাং হোপফুলের বাসিন্দা সহকর্মী স্মৃতি আয়েশা বন রামসামিকে। দুজনের উদ্দামগতির প্রেম চলছিল।

কিন্তু, বিদেশির সঙ্গে প্রেম ভালোভাবে নেয়নি স্মৃতির পরিবার। দুজনের দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে গেল। জায়গার নামে যতই হোপফুল নামটি জড়িয়ে থাক ফরহাদ কোনো আশার আলো দেখলো না। সে মনমরা হয়ে চলে এলো নোয়াখালীর বাড়িতে।

ওদিকে স্মৃতিভারে ভারাক্রান্ত স্মৃতি আয়েশা। ফরহাদকে ছাড়া সে ‘পানি বিনা মাছলি’ হয়ে গেল। একদিন পাসপোর্ট, ভিসা জোগাড় করে পাড়ি দিলো বাংলাদেশ।

কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা। সেখান থেকে বাসে নোয়াখালী। দুই তৃষিত হৃদয়ের মিলন হলো। বিয়ে হয়ে গেল ফরহাদ-স্মৃতির। এই মিলনের আনন্দ অপরিসীম। দুয়ের মিলনে বাধার প্রতিবন্ধকতা আর কিছু থাকলো না।

ভারতীয় সেলিব্রিটি সৃজিতা দের বিয়েতে অবশ্য এতটা প্রতিবন্ধকতা ছিল না। বিগবস-সিক্সটিন করার সময়ই সৃজিতা ঘোষণা করেছিলেন তিনি প্রেমিক মাইকেল ব্লম পপকে বিয়ে করবেন। কিন্তু, এই বিয়ে করার জন্য সৃজিতাকে জার্মানি উড়ে যেতে হবে কে জানতো! সৃজিতা প্লেনের টিকিট কেটে পৌঁছে গেলেন জার্মানির মিউনিখ শহরে। সেখানে একটি চার্চে খ্রিস্টান মতে বিয়ে হলো সৃজিতা-মাইকেলের। ভারতে ফিরে হিন্দু মতেও বিয়ে হবে জানিয়েছেন সৃজিতা।

১৭ই জুলাই বলিউডে পার্টি দিচ্ছেন সৃজিতা-মাইকেল। স্মৃতি- ফরহাদ কিংবা সৃজিতা-মাইকেলের মধ্যে শতেক যোজনের দূর, কিন্তু কী মিল দুই দম্পতির। মিলটা দুর্দমনীয় প্রেমের।