নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত উখিয়ার ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা!

ইমরান আল মাহমুদ:
‘নতুন বছর, নতুন দিন, নতুন বইয়ে হোক রঙিন’ এই স্লোগানে উখিয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে বই উৎসব। সোমবার(১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ৭৮টি প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুলে বই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না গ্রামের পথ ধরে নতুন বই বুকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাসিত হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুমাইয়া খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌস হাসিসহ একদল শিক্ষার্থী। নতুন বছরে নতুন বই পেয়ে তাদের যেন আনন্দের সীমা নেই। শীতের সকালে এভাবে নতুন বই নিয়ে গন্ধ শুকতে শুকতে বাড়ি এসেছে শিক্ষার্থীরা। নতুন বই পেয়ে অনেক আনন্দিত উচ্ছ্বসিত বলে জানায় তারা।

বই উৎসবে একযোগে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫হাজার ৯শ ৬২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বই বিতরণ করা হয়।

সোমবার সকাল ১০টায় উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে উৎসবের সূচনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব। এরপরই পুরো উপজেলাজুড়ে এমনই আনন্দ, উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। কোমলমতি শিশুদের হাতে বই তুলে দিতে স্কুলে স্কুলে ছিল ছোট পরিসরের আয়োজনও।

এদিকে রত্নাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা।

পশ্চিম রত্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম সেলিম জানায়,আমাদের বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৬০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সবার হাতে বই পৌঁছে দিয়েছি। তবে কয়েকটি বিষয়ের বই এখনো বিদ্যালয়ে না পৌঁছায় শিক্ষার্থীদের দিতে পারিনি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার বলেন,” উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে বছরের প্রথম দিন বই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা সূচনা করা হয় উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। সব স্কুলে বই উৎসবে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারের অনন্য উদ্যোগ বিনামূল্যে বই পৌঁছে দিয়েছি। তবে কয়েকটি বিষয়ের বই সংকট রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব স্কুলে এসব বই পৌঁছে দেওয়া হবে।”