কক্সবাজারে নারীর গলাকা’টা ম’রদে’হ উদ্ধার!

সুজাউদ্দিন রুবেল :

  • বিছানায় পড়ে ছিল নারীর গলাকাটা মরদেহ, রক্তাক্ত দা মেঝেতেনিজ ঘরের বিছানায় পড়ে ছিল নারীর গলা কাটা মরদেহ। ঠিক তার পাশে মেঝেতে ছিল রক্তাক্ত দা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দা’টি উদ্ধার করলেও হত্যাকাণ্ডের রহস্য তাৎক্ষণিক উদঘাটন করতে পারেনি।

কক্সবাজারে নিজ ঘরের বিছানায় পড়ে ছিল নারীর গলা কাটা মরদেহ। এ ঘটনায় চারজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিনগত রাতে কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত নারী রিনা আক্তার (৪০) কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার আবু নাছেরের স্ত্রী। রাতেই নিহত নারীর স্বামী আবু নাছেরসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকা। রাত ১২টায় ৩তলা একটি ভবনের সামনে উৎসুক জনতার ভিড়। সবার মধ্যে উৎকণ্ঠা। পুলিশের কয়েকটি ইউনিটেরও অবস্থান রয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক মো. রকিবুজ্জামান জানান, কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ায় নিজ বাড়িতে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে মুঠোফোন এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ পড়ে ছিল। মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি রক্তাক্ত দা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনরা জানায়, ঘরের দরজা খোলা ছিল আর আলমারি ভেঙে লুট করা হয়েছে মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা। তবে পুলিশের দাবি, এ ধরনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

 

স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘গলা কেটে নারীকে হত্যার ঘটনা শুনে দ্রুত ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি আবু নাছের রয়েছে। বিছানায় নারীর লাশ পড়ে রয়েছে, গলায় একটি ওড়না রয়েছে এবং মুখ রক্তাক্ত।’

স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ বলেন, ‘এখানে সন্দেহ করার মতো কোনো কারণ দেখছি না। সম্ভবত কোনো দুর্বৃত্তের দল কৌশলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

নুরুল হক চকোরি বলেন, ‘নারীর স্বামী আবু নাছের তারাবির নামাজ পড়ে বাসায় এসে দেখতে পান দরজা খোলা। আর বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় তার স্ত্রী লাশ পড়ে রয়েছে। একই সঙ্গে আলমারি ও লকার সব ভাঙ্গা ছিল এবং ওখানে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা ছিল না।’

তবে এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক মো. রকিবুজ্জামান বলেন, ‘আলমারি ও লকার ভাঙ্গা ছিল এবং স্বর্ণালঙ্কার বা নগদ টাকা লুট করা হয়েছে এ ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি। আর ঘটনার ব্যাপারে বেশ কয়েকজন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের ৪ জনকে থানায় আনা হয়েছে।

ঘটনার পর আলামত সংগ্রহ করতে খবর দেয়া হয় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটকে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্ত আসে পিবিআই ও র‌্যাবের টিমও। তারাও আলামত সংগ্রহের পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ করে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এক নারীর গলাকাটা লাশ পাওয়া গেছে। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। সিআইডির টিম এসেছে তারা আলামত সংগ্রহ করছে। পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা হবে।