পানির নিচে ঝুলন্ত সেতু

রাঙামাটি প্রতিনিধি •

রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। কিন্তু সেটি এখন কাপ্তাই হ্রদের পানির নিচে। গত তিন চার দিন ধরে অতিবৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় নয়নাভিরাম এই ব্রিজটি পানিতে ডুবে গেছে।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেঙ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে ঝুলন্ত সেতুতে পানি উঠে যায়। গত দুই বছর ধরে ব্রিজ পানিতে তলিয়ে না গেলেও পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থায় ছিল।। কিন্তু এ বছর ব্রিজটি ডুবে গেছে।

এদিকে, সিলেট থেকে রাঙামাটি পর্যটন ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসা পর্যটক ধনঞ্জয় দাশ ধনু বলেন, কাপ্তাই হ্রদের ঝুলন্ত ব্রিজ নিয়ে একটি অসাধারণ অনুভূতি ছিল। কিন্তু এসে দেখলাম ব্রিজটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি এই ব্রিজটি অতি সত্বর সংস্কার করে পুরো বছর যাতে টুরিস্টরা এই ব্রিজটি পরিদর্শন করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হোক।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বাসিন্দা মো: তোহেল জানান, রাঙামাটির অপরূপ সৌন্দর্য্য আমাদের কাছে খুবই ভাল লাগছে। কিন্তু পর্যটনে এসে দেখলাম ব্রিজটি পানিতে তলিয়ে গেছে। এটি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ যেহেতু এটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। রাঙামাটি পর্যটন এলাকার স্থানীয় অধিবাসী সুমন বলেন, সেতুটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় আমাদের জন্য খুবই সমস্যা। এই ব্রিজ দিয়ে আমাদের প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়।

এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেঙের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, গত কয়েকদিনের অনবরত বৃষ্টিতে ব্রিজটি ডুবে গেছে। ব্রিজটির পাটাতন এখন প্রায় ৬ ইঞ্চি পানির নীচে।

ঝুলন্ত সেতুতে আজ (গতকাল রোববার) থেকে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে সেতু থেকে পানি কমে গেলে তা আবার খুলে দেয়া হবে। ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কারের বিষয়ে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেঙের ব্যবস্থাপক বলেন, পর্যটন কর্পোশেনের প্রধান কার্যালয়ে ব্রিজটি সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তাবনা দেয়া আছে। পরিকল্পনা বিভাগ থেকে অর্থ বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।

উল্লেখ্য, নয়নাভিরাম বহুরঙা এ ঝুলন্ত সেতুটি দু’টি বিচ্ছিন্ন পাহাড়ের মধ্যে গড়ে ওঠায় পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।