পেকুয়া শহীদ জিয়া উপকূলীয় কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান আর নেই

এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া ◑

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান (৫৬) আর নেই।

সোমবার (২ মার্চ) ভোররাত ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাজ মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি……রাজিউন)।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যান অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান। সেখানে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী স্থাণীয় বেসরকারী ক্লিনিক নাজ মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় সোমবার ভোররাত ৫টার দিকে ইন্তেকাল করেন অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান।

অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের ১২তম অধ্যক্ষ হিসেবে গত ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল যোগদান করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে কলেজ অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সহিলপুর মাইজপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান ও নুরজাহান বেগমের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ কন্যা, ১ ছেলেসহ, অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ও গুনগ্রাহী রেখে যান।

এদিকে পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকুলীয় কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকুলীয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সালাহ উদ্দিন আহমদ। সোমবার (২ মার্চ) বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এক শোক বার্তায় সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কর্মজীবনে অত্যন্ত সৎ ও ন্যায়পরায়ন মানুষ ছিলেন। সব সময় তিনি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার মানোন্নয়ন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতেন । ব্যক্তি জীবনে তার তেমন কোন চাওয়া পাওয়া ছিলনা।

এ রকম শিক্ষাবান্ধব ও পরোপকারী শিক্ষকের মৃত্যুতে পেকুয়াবাসীর অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। যা কখনো ভুলবার নয়। তিনি আরও বলেন, আমরা দিনদিন দেশের জ্ঞানী মানুষগুলোকে হারাচ্ছি। তাদের শুন্যতা আজ আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। অধ্যক্ষ মো.ওবায়দুর রহমান মৃত্যুতে পেকুয়ার সর্বত্রই শোকের ছায়া নেমে এসেছে।